Risingbd:
2025-09-18@04:56:22 GMT

কতদূর যাবে বাংলাদেশ?

Published: 18th, June 2025 GMT

কতদূর যাবে বাংলাদেশ?

স্কোর: বাংলাদেশ ২৯২/৩

পরিসংখ্যান

২০১৩ সালে বাংলাদেশ গলে ৬৩৮ রান করেছিল যা এখনও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। মুশফিকুর রহিম সেই ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। 

আরো পড়ুন:

টেস্ট হয়ে যাচ্ছে চার দিনের!

মুশফিকের সামনে নিজের রেকর্ড ভাঙার হাতছানি

কতদূর যাবে বাংলাদেশ?

শুরুর ৩ ব্যাটসম্যান দলীয় ৪৫ রানে সাজঘরে। সেখান থেকে কতদূরই বা যেতে পারে বাংলাদেশ? আগের পাঁচ দলীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৪৪ রান করেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাকি চারটিতে ১৯১, ২৫৫, ১৬৪ ও ২৬৮ রানে অলআউটের রেকর্ড বাংলাদেশের। তার আগের পাঁচটিতে চারটিতেই দুইশও ছুঁতে পারেনি দলীয় রান। 

গলে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত যখন জুটি বাঁধলেন তখন বাজি ধরার লোক পাওয়ার কথা না। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের দৃঢ়চেতা মনোভাব, হার না মানা মানসিকতা, চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে হাসালেন। উড়ালেন। 

গলে গতকাল প্রথম দিন বাংলাদেশ শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে। শান্ত ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ও মুশফিকুর দ্বাদশ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ২৪৭ রান। মুশফিকুর ১০৫ ও শান্ত ১৩৬ রানে অপরাজিত থেকে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছেন। 

প্রশ্ন হচ্ছে, আজ কতদূর যাবে বাংলাদেশ?

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কতদ র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ