পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বর্ষায় দুর্ভোগে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের। প্রতিদিন বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হয়। এ ছাড়া ট্রেনের পা-দানির উচ্চতার চেয়ে নিচু প্ল্যাটফর্মের কারণেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও ছাউনি নির্মাণসহ অন্য সমস্যার সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগিরই ছাউনি নির্মাণকাজ শুরু হবে।

সরেজমিন বাইপাস স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বড়সড় এই প্ল্যাটফর্মে ১২ থেকে ১৪ বগির আন্তঃনগর কোনো ট্রেন এসে দাঁড়ালে প্ল্যাটফর্মটি পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু প্ল্যাটফর্মে ছাউনি না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড রোদের তাপ আর বর্ষায় বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। এ ছাড়া ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্ম অনেক নিচে থাকায় বগিতে উঠতে ও নামাতে যাত্রীদের কষ্ট করতে হয়। মাঝেমধ্যেই পা পিছলে অনেকে নিচে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনে ওঠানামার কষ্ট ও ভোগান্তির কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রীরা দ্রুত প্ল্যাটফর্মে শেড নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

বৃষ্টির সময় ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষমাণ সিল্কসিটি ট্রেনের যাত্রী মাহ্‌বুবুর রহমান পলাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রীসেবা বাড়ানোর কথা বলা হলেও বৃষ্টিতে ভিজে, বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। এটা কেমন যাত্রীসেবা।

ট্রেনযাত্রী দুর্জয় ইসলাম বলেন, শুধু বৃষ্টিতে নয়; এ স্টেশনে এসে প্রচণ্ড গরমও সহ্য করতে হয়। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে শেড নির্মাণ করা জরুরি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনটি চালু হয় ২০০২ সালে। দ্বিতল ভবনের স্টেশনটির নিচে রয়েছে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের বিশ্রামাগার ও একটি ওয়াশরুম। ভবনটির দোতলায় রয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। স্টেশনে রাজশাহী থেকে ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় প্ল্যাটফর্মের পরিধি বাড়ানো হলেও কোনো শেড নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে রোদ ও বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রাজশাহী-ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চিলাহাটি-ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস এবং ঢালারচর-রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন বাইপাস স্টেশনে থেমে থাকে। এ ছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড়গামী একতা ও ঢাকা-বুড়িমারীগামী বুড়িমারী এবং পঞ্চগড়-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনও থামে এই স্টেশনে। এসব ট্রেনে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে বিপুলসংখ্যক যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকে।

বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনে ওঠা ও রোদে কষ্ট পাওয়ার বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল জানান, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী ট্রেনের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে প্ল্যাটফর্মে শেড নির্মাণ জরুরি। তবে এটি সেতু প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন।

যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, স্টেশনে শেড নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় চরমপন্থি নেতা নাসিমকে ছিনিয়ে নিলেন সহযোগীরা

খুলনায় গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের কাছ থেকে চরমপন্থি নেতা নাসিমকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তার সহযোগীরা। 

বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকের ঘটনা এটি। 

দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানা ঘোলারঘাটের হারুন মোল্লার ফার্ণিচারের দোকানে নাসিমকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। 

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে পুকুরে ডুবে কলেজছাত্রের মৃত্যু

ক্ষেতে গরু যাওয়ায় মাকে মারধর, ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নাসিম পালিয়ে গেলেও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে অংশ নেওয়া তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। 

রাতে ঘটনার বিষয়ে তথ্য দেন দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শাহীন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে দিঘলিয়া থানার একটি টিম ওসি তদন্ত ও সেকেন্ড অফিসার এসআই তারেকের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পাটির নেতা এবং একাধিক হত্যা মামলার আাসামি নাসিমকে গ্রেপ্তারের জন্য উপজেলার ফরমাইশখানা ঘোলারঘাট এলাকায় অভিযানে যায়। 

দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও যৌথ বাহিনী গোটা এলাকায় অভিযানে নামে। তবে নাসিমকে ধরতে পারেনি। যদিও রেজাউল ও আল মামুন নামে নাসিমের দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।

ওসি শাহীন বলেন, উপজেলা ফরমাইশখানা গ্রামে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নাসিমকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার বাহিনী পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে নাসিমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নাসিমের সহযোগীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে; একই সঙ্গে অভিযানও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ