খেতে পানিতে পড়ে ছিল পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তার, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
Published: 19th, June 2025 GMT
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় খেতের পানিতে পড়ে থাকা পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হরলাল চন্দ্র পাল (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের নবী মেম্বারের বাড়ির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হরলাল পূর্ব চরবাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে হরলাল চন্দ্র পাল বাড়ির পাশের একটি খেতে কচুর লতি তুলতে যান। সে সময় বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। প্রতিবেশীরা খেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে খবর দেওয়া হলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ লাইন বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, আগের দিন রাতে হালকা বাতাস ও বৃষ্টিতে বিদ্যুতের চালু লাইনের তার খেতের মধ্যে ছিঁড়ে পড়ে থাকলেও তা মেরামতে কেউ আসেননি। আগেও ছেঁড়া তারের বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশকে কামড় দিয়ে ঢাকার আদালত থেকে পালালেন খুনের আসামি
এক পুলিশ সদস্যকে কামড় দিয়ে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছেন হত্যা মামলার এক আসামি। শরীফুল ইসলাম নামের ওই আসামি ছয় বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাইন উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, খিলগাঁও থানায় করা একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন শরীফুল ইসলাম। মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকায় তাঁকে কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আনা হয়েছিল। দুপুরের দিকে আদালতে শুনানি শেষে তাঁকে যখন হাজতখানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন পুলিশ কনস্টেবল শহীদুল ইসলামের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মাইন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তদন্তে জানা যাবে, যে পুলিশ কনস্টেবল আসামিকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর কোনো অবহেলা ছিল কি না। আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি।’
পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা হয়েছিল। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ছয় বছর ধরে কারাগারে ছিলেন তিনি।
শরীফুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। গ্রামের নাম হরিপুর। তাঁর বাবার নাম শফিক আহমেদ।