কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির ৬৭টি কড়িকাইট্টা কচ্ছপ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করে তারা।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

সুদীপ্ত সরকার জানান, উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে বলে খবর আসে। র‌্যাবের একটি দল ক্রেতা সেজে বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় ১১টি বড় ও ৫৬টি ছোট বিলুপ্ত প্রজাতির কড়িকাইট্টা কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।  সাধারণত এই কচ্ছপ ভারতে বেশি পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:

পুলিশের ব্রিফিং
নগদের কোটি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য জড়িত

উত্তরায় র‌্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৫

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্র করে একই এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে মাহি (২০) কচ্ছপগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছিলেন। উদ্ধার করা কচ্ছপ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভেড়ামারা উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “বিভাগীয় বন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমরা কচ্ছপগুলো উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করেছি।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কারও আগ্রাসন মেনে নেবে না ইরান: খামেনি

‘ইরান কারও ক্ষতি করেনি। কোনো পরিস্থিতিতেই কারও আগ্রাসন মেনে নেবে না।’ এ মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। 

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেছেন তিনি। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান কারও আগ্রাসনের কাছে নতি স্বীকার করবে না। এটিই ইরানি জাতির ‘যুক্তি’।

এর আগে সোমবার ইরাক ও কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এক বিবৃতিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ‘ইয়া আবা আব্দুল্লাহ আল হুসেইন’ সাংকেতিক নাম ধারণ করে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ‘বাশারাত ফাতেহ’ অপারেশনে কাতারের উদেইদ ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু’ করে ‘বিধ্বংসী ও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে।

হামলার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) বলেছে, হোয়াইট হাউস ও তাদের মিত্রদের প্রতি ইরানের বার্তা ‘সুস্পষ্ট’। ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার উপর কোনো আক্রমণকে ‘খামোখা ছেড়ে দেওয়া হবে না’।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নির্দেশে এবং খাতাম আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। 

এই বিবৃতির কিছু আগে কাতারের রাজধানী দোহা এবং এর উপকণ্ঠ লুসাইলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আকাশে প্রজেক্টাইল দেখা গেছে।

সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সফল অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ বোমা ব্যবহার করেছিল তার সমান ছিল। শক্তিশালী ইরানি বাহিনীর হামলায় যে ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল তা কাতারের নগর স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা ১৪টি বোমা দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এর কয়েক মিনিট আগে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানায়, কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ‘বিশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আব্দুল্লাহ’ কোড নামে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে।

তাসনিম জানায়, ‘বিশারাত ফাতেহ’ ও ‘ইয়া আবা আবদুল্লাহ’ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। 

আইআরজিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানাচ্ছে, এই প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র কোনো হামলায় ব্যবহার করা হলো। সেই সঙ্গে হামলায় আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ