ম্যারাডোনার ছবি পোস্ট করে কী ইঙ্গিত দিলেন ইয়ামাল
Published: 29th, June 2025 GMT
গত মৌসুমে একাধিকবার খবরটি সামনে এসেছিল। ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, পরের মৌসুমে লামিনে ইয়ামালের গায়েই উঠতে যাচ্ছে বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি। এমনকি গত মাসের শেষ দিকেও ইয়ামালের গায়ে লিওনেল মেসির রেখে যাওয়া ১০ নম্বর জার্সি তুলে দেয় একাধিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। সেই খবরটিই বোধ হয় এবার সত্যি হতে যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ইয়ামালের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সেই বার্তাই যেন দিয়ে দিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন ইয়ামাল। প্রথম ছবিতে দেখা যায় বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি পরা ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে এবং দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায় বার্সার ১৯ নম্বর জার্সি পরা ইয়ামালকে। দ্বিতীয় ছবির ক্যাপশনে ইয়ামাল লিখেছেন, ‘আমার নম্বর, আমার ইতিহাস।’ এর মধ্য দিয়ে ইয়ামাল হয়তো ১৯ নম্বরকে বিদায় জানিয়ে ১০ নম্বরকে আপন করার কথাটাই জানিয়ে দিলেন।
২০২০-২১ মৌসুম শেষে মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার পর সবার চোখ ছিল ১০ নম্বর জার্সিটার দিকে। বিদায়ের আগ পর্যন্ত এই জার্সি পরেই একের পর এক ইতিহাস গড়েছেন মেসি। ফলে এই জার্সি পরা যেমন সৌভাগ্যের, তেমনি চাপেরও। মেসির পর এই জার্সি পেয়ে সেই চাপ নিতে পারেননি আনসু ফাতি।
আরও পড়ুনঅবশেষে বার্সেলোনার ‘১০ নম্বর’ জার্সি খুঁজে পাচ্ছে ‘নতুন মেসি’কে২০ মে ২০২৫শুরুতে আশা জাগালেও চোট ও ছন্দহীনতা ফাতিকে রীতিমতো কোণঠাসা করে দেয়। ধারে বায়ার্ন মিউনিখ ও ব্রাইটনে ঘুরে এলেও বার্সায় থিতু হওয়া হয়নি তাঁর। এখন জোর গুঞ্জন আছে বার্সা ছেড়ে ফাতির মোনাকোয় যাওয়ার। এমন পরিস্থিতিতে ফাতির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ইয়ামালই আগামী মৌসুম থেকে পরতে যাচ্ছেন ১০ নম্বর জার্সি।
ম্যারাডোনার এই ছবি স্টোরিতে পোস্ট করেছেন ইয়ামাল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস