দুই ঘণ্টা পর সচল শাহ আমানতের রানওয়ে, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ৩৮৭ যাত্রী
Published: 5th, July 2025 GMT
হজযাত্রী নিয়ে আসা একটি বিমান যান্ত্রিক ক্রটির কবলে পড়ে দুই ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে ওই ফ্লাইটে মোট ৩৮৭ জন হজযাত্রী নিরাপদে বের হতে সক্ষম হয়েছেন।
সৌদি আরবের মদিনা থেকে চট্টগ্রামে আসা হজ যাত্রীবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট অবতরণের পর রানওয়েতে যান্ত্রিক ক্রটির কারণে আটকে পড়ে। এতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে বিমানটিকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেলে পুরোদমে সচল হয় বিমানবন্দরটি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-১৩৮ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে গিয়ে বিমানটি যান্ত্রিক ক্রটির কারণে থেমে যায়। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে বিমানটিকে টাগকারের (টোইং ভেহিকল) মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সরিয়ে এপ্রোনে নেওয়া হয়।
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, বিমানটি নামার পরই যান্ত্রিক ক্রটি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় রানওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফ্লাইটে থাকা সব হজযাত্রীই নিরাপদে আছেন।
বিমানে থাকা যাত্রী আব্দুর রহমান বলেন, বিমানটি সৌদি আরবের মদিনা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উড্ডয়ন করে। চট্টগ্রামে সকাল সোয়া ৯টায় যখন এটি অবতরণ করছিল তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। উড়োজাহাজটি অবতরণের পর ইউটার্ন নেওয়ার সময় রানওয়ের মাঝপথে আটকে যায়। আমরা খুব আতঙ্কিত হই তখন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিমান নিরাপদ গন্তব্যে ফিরে আসে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজয ত র র র নওয় ফ ল ইট ব ম নট
এছাড়াও পড়ুন:
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন
চাঁদের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য কয়েক বছর ধরেই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স নিজেদের তৈরি বিশাল ‘স্টারশিপ’ রকেটের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করছে। তবে নানা জটিলতার কারণে ১০ বার স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই স্টারশিপের পরবর্তী উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও মহাকাশপ্রেমীরা। অবশেষে গতকাল সোমবার স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে।
স্পেসএক্সের তথ্যমতে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ অর্ধেক বিশ্ব প্রদক্ষিণ করার পর ভারত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে নাসার চন্দ্রাভিযানের জন্য এ অভিযান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল রকেটটি সফলভাবে তার বুস্টারকে বিচ্ছিন্ন করে ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশে প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
৬০ মিনিটের বেশি স্থায়ী এই পরীক্ষামূলক অভিযানে আটটি নকল স্টারলিংক স্যাটেলাইট বহন করেছে স্টারশিপ। পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় স্টারশিপ রকেটের বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে। অন্যদিকে মহাকাশযানটি ভারত মহাসাগরে অবতরণ করে। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কোনো অংশই পুনরুদ্ধার করা হয়নি। স্পেসএক্সের কর্মীরা স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এমনকি প্রথমবারের মতো লঞ্চ কন্ট্রোলের বাইরে থেকে স্টারশিপের উড্ডয়ন দেখেছেন ইলন মাস্ক।
স্টারশিপকে মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য ব্যবহার করতে চান ইলন মাস্ক। নাসাও ২০৩০ সালের মধ্যে নভোচারীদের নিয়ে চাঁদে অভিযানের জন্য ৪০৩ ফুট লম্বা এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্টারশিপ ব্যবহার করতে আগ্রহী। তাই স্টারশিপ নাসার জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি বলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের দিকে আরও একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এ পরীক্ষা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া