ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে নিহত যুবক ওয়াসিম আকরামের লাশ প্রায় তিন মাস পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

ওয়াসিম আকরাম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে রমজান আলী ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে মরদেহটি তাঁর ছেলে ওয়াসিমের বলে দাবি করেন। ওই সময় বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। লাশ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে আবেদন করেন রমজান আলী। 

ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান জানান, এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার পতাকা বৈঠক হয়। পরে বিএসএফ লাশ শনাক্ত করে তা ফেরত দিতে সম্মতিপত্র পাঠায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ এবং নিহতের স্বজন, বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে মেইন সীমান্ত পিলার ৬০-এর কাছে বিজিবি ও বিএসএফ এবং দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী ও বড় ভাই মেহেদী হাসান লাশ নেন।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি। লাশের সঙ্গে পাঠানো কাগজপত্রের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল। এতে ভারতীয় চিকিৎসকরা উল্লেখ করেছেন, পানিতে পড়ে ওয়াসিমের মৃত্যু হয়েছিল।

এলাকাবাসী যেদিন লাশ দেখতে পান, সেদিন তারা বলেছিলেন, ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে অন্যদের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে যান ওয়াসিম। সে সময় তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে আজ ৭১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বিজিবি জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মৌলভীবাজার জেলার পাল্লাথল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নারী পুরুষ ও শিশুরসহ ৪৮ জন। তারা পাহাড়ী এলাকায় পাল্লাথল পুঞ্জি নামক স্থানে ঘোরাঘুরি করাকালে বিজিবির টহলদল তাদেরকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ১৫ জন এবং শিশু ১৮ জন।

বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী জানান, আটককৃতরা ৬ মাস থেকে ১৭ বছর আগে চিকিৎসা এবং কাজের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম এবং যশোর জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে। পরবর্তীতে তাদেরকে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে পুশইন করানো হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশি নাগরিক এবং যশোর, বাগেরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, বরিশাল ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। আটককৃত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

অপরদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সিন্দুরখান সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষসহ ২৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন
  • পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ 
  • তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • আরও দুই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
  • মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • মৌলভীবাজারের দুটি সীমান্ত দিয়ে ৭১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ