দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে, মে মাসে ২০ টন
Published: 6th, July 2025 GMT
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মে মাসে আরও ২০ টন সোনা কিনেছে। এই পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। খবর ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের।
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা বেড়েছে। কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক মে মাসে সাত টন সোনা কিনেছে। এতে ব্যাংকটির মোট মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টন। এ ছাড়া বছরের শুরু থেকে কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের মজুত বেড়েছে ১৫ টন। গোল্ড কাউন্সিল অবশ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে সোনা মজুতের গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে।
তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মে মাসে ছয় টন সোনা কিনেছে। এতে চলতি বছর ব্যাংকটির মোট ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ টন। চলতি বছর সোনার সবচেয়ে বড় নিট ক্রেতা দেশ পোল্যান্ড। চলতি বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬৭ টন সোনা কিনেছে। মে মাসে দেশটির ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ছয় টন।
চীনের পিপলস ব্যাংক ও চেক রিপাবলিকের ন্যাশনাল ব্যাংক, উভয়ই মে মাসে দুই টন করে সোনা কিনেছে। এ ছাড়া মে মাসে বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল সিঙ্গাপুরের মুদ্রানীতি কর্তৃপক্ষ। তারা পাঁচ টন সোনা বিক্রি করেছে। এরপর উজবেকিস্তান ও জার্মানির ডয়চে বুন্ডেসব্যাক উভয়ই এক টন করে বিক্রি করেছে।
চলতি বছরের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিট সোনা বিক্রেতা দেশ উজবেকিস্তান। এ সময় দেশটি ২৭ টন সোনা বিক্রি করেছে। সিঙ্গাপুরের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১০ টন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’-এ দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সোনা মজুত বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী ১২ মাসে সারা বিশ্বে সরকারি পর্যায়ে সোনা মজুত বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির সময়ে বিকল্প সম্পদ ও ঝুঁকি প্রতিরোধী হিসেবে সোনার কার্যকারিতা—এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলেছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে ‘অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস ফোরামের গ্লোবাল পাবলিক ইনভেস্টর ২০২৫ প্রতিবেদনে। ৩২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে তারা সোনা মজুদ বাড়াতে চায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম আগামী ২৯ অক্টোবর (বুধবার) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর (রবিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে এ কার্যক্রম শেষ হবে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরো পড়ুন:
চবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি
রাবির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’, ‘চারুকলা ইউনিট’ এবং আইবিএ ইউনিট।
আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সভায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বর, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২০ ডিসেম্বর, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ ডিসেম্বর, ‘চারুকলা ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) আগামী ২৯ নভেম্বর এবং আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আইবিএ ইউনিট ছাড়া সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
অপর দিকে, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা হবে।
চারুকলা ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের উপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০০ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫০, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫০ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী