গ্রেনাডা টেস্টে টসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোস্টন চেজ জানিয়েছিলেন, ২০০ রানের নিচে লক্ষ্য হলে তাঁর দল অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘দুর্বোধ্য’ পিচে অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্যটা একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছিল—২৭৭।

প্রত্যাশিতভাবে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। মিচেল স্টার্কের গতি আর নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে কাল টেস্টের চতুর্থ দিনে দুই সেশনও টিকতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ১৩৩ রানে। বার্বাডোজে সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৫৯ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল সফরকারীরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এ নিয়ে টানা ৫ টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সিরিজে অপরাজিত থাকার হিসাব করলে সংখ্যাটা ৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ১৯৯১ সালে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নেতৃত্বে।

সেন্ট জর্জেসের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২২১ রান তুলে পরশু তৃতীয় দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের দল এগিয়ে ছিল ২৫৪ রানে। কাল চতুর্থ দিনে আর ২২ রান যোগ করতেই বাকি ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। আলোচিত পেসার শামার জোসেফ নেন ৪ উইকেট।

তবে এর অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় গ্রেনাডা টেস্টে স্বাগতিকদের রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিততে হবে; ভাঙতে হবে বাংলাদেশের রেকর্ড। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ২১৭ রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে এখন পর্যন্ত সেটিই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাল সেটিরও ধারেকাছে যেতে পারেনি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার পেসার স্টার্ক, কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও বো ওয়েস্টার মিলে ফেরান ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারজনকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম টেস্ট খেলতে নামা ক্রেগ ব্রাফেট আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ০ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে আউট হয়েছেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর অধিনায়ক চেজ শাই হোপকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়ে কিছুটা আশা দেখান। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই হুড়মুড়িয়ে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ দিকে অভিজ্ঞ অফ স্পিনার নাথান লায়ন টপাটপ ৩ উইকেট নিলে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেই জিতে যায়।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯৩ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি।

শনিবার থেকে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট হবে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে। এটিই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্ট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ২৮৬ ও ৭১.

৩ ওভারে ২৪৩ (স্মিথ ৭১, গ্রিন ৫২, হেড ৩৯, ক্যারি ৩০; শামার ৪/৬৬, গ্রিভস ২/২২, সিলস ২/২৯, আলজারি ২/৫২)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৩ ও ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ (চেজ ৩৪, শামার ২৪, হোপ ১৭; স্টার্ক ৩/২৪, লায়ন ৩/৪২, হ্যাজলউড ২/৩৩, ওয়েবস্টার ১/১৫, কামিন্স ১/২৬)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৩৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যালেক্স ক্যারি (অস্ট্রেলিয়া)।

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের রেকর্ডের ধারেকাছেও যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

গ্রেনাডা টেস্টে টসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোস্টন চেজ জানিয়েছিলেন, ২০০ রানের নিচে লক্ষ্য হলে তাঁর দল অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘দুর্বোধ্য’ পিচে অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্যটা একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছিল—২৭৭।

প্রত্যাশিতভাবে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। মিচেল স্টার্কের গতি আর নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে কাল টেস্টের চতুর্থ দিনে দুই সেশনও টিকতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ১৩৩ রানে। বার্বাডোজে সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৫৯ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল সফরকারীরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এ নিয়ে টানা ৫ টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সিরিজে অপরাজিত থাকার হিসাব করলে সংখ্যাটা ৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ১৯৯১ সালে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নেতৃত্বে।

সেন্ট জর্জেসের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২২১ রান তুলে পরশু তৃতীয় দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের দল এগিয়ে ছিল ২৫৪ রানে। কাল চতুর্থ দিনে আর ২২ রান যোগ করতেই বাকি ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। আলোচিত পেসার শামার জোসেফ নেন ৪ উইকেট।

তবে এর অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় গ্রেনাডা টেস্টে স্বাগতিকদের রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিততে হবে; ভাঙতে হবে বাংলাদেশের রেকর্ড। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ২১৭ রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে এখন পর্যন্ত সেটিই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাল সেটিরও ধারেকাছে যেতে পারেনি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার পেসার স্টার্ক, কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও বো ওয়েস্টার মিলে ফেরান ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারজনকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম টেস্ট খেলতে নামা ক্রেগ ব্রাফেট আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ০ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে আউট হয়েছেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর অধিনায়ক চেজ শাই হোপকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়ে কিছুটা আশা দেখান। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই হুড়মুড়িয়ে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ দিকে অভিজ্ঞ অফ স্পিনার নাথান লায়ন টপাটপ ৩ উইকেট নিলে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেই জিতে যায়।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯৩ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি।

শনিবার থেকে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট হবে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে। এটিই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্ট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ২৮৬ ও ৭১.৩ ওভারে ২৪৩ (স্মিথ ৭১, গ্রিন ৫২, হেড ৩৯, ক্যারি ৩০; শামার ৪/৬৬, গ্রিভস ২/২২, সিলস ২/২৯, আলজারি ২/৫২)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৩ ও ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ (চেজ ৩৪, শামার ২৪, হোপ ১৭; স্টার্ক ৩/২৪, লায়ন ৩/৪২, হ্যাজলউড ২/৩৩, ওয়েবস্টার ১/১৫, কামিন্স ১/২৬)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৩৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যালেক্স ক্যারি (অস্ট্রেলিয়া)।

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ