ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি রাশমিকা মান্দানা ও বিজয় দেবরকোন্ডা। ২০১৮ সাল ‘গীতা গোবিন্দম’ সিনেমায় প্রথম জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হন তারা। ২০১৯ সালে ‘ডিয়ার কমরেড’ সিনেমায় সর্বশেষ দেখা যায় এ জুটিকে। এ দুটো সিনেমায় তাদের রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করে।

‘ডিয়ার কমরেড’, ‘গীতা গোবিন্দম’-এর মতো প্রেমের সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকে বিজয়ের সঙ্গে রাশমিকার বোঝাপড়া ভালো। সেই সময় থেকেই এ জুটিকে ঘিরে প্রেমের গুঞ্জনের সূত্রপাত। যদিও এ সম্পর্ক ‘বন্ধুত্বে’ সীমাবদ্ধ বলে দাবি তাদের। তবে জিমে যাওয়া, চুপিচুপি শহর ছেড়ে ছুটি কাটানো, লিভ-ইনের গুঞ্জনসহ তাদের নানা কীর্তিকলাপ নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।

ব্যক্তিগত কারণে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন রাশমিকা-বিজয়। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে নতুন কোনো সিনেমায় তাদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। প্রিয় তারকা জুটিকে ফের একসঙ্গে পর্দায় দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্তরাও। দর্শক চাহিদা থাকার পরও কেন একসঙ্গে অভিনয় করেন না তারা? এ নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে। এবার জানা গেল, রাশমিকার সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিজয়।

আরো পড়ুন:

কুবেরা: কে কত কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?

দেশি লুকে রাশমিকা, শাড়ির মূল্য কত?

ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘কুবেরা’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিজয় দেবরকোন্ডাকে প্রথম প্রস্তাব দেন পরিচালক। ‘দেব’ চরিত্রের জন্য বিজয়কে উপযুক্ত মনে করেছিলেন নির্মাতারা। কারণ তার দর্শকপ্রিয়তা, ‘র’ এবং ‘রুক্ষ’ চরিত্রটির সঙ্গে মানানসই বিজয়। তবে বিজয় বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ বিজয় মনে করেন, ভিক্ষুকের চরিত্রে দর্শকরা তাকে গ্রহণ করবেন না।
 
একটি সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, “বিজয় তার অবস্থান নিয়ে খুবই সচেতন। সে মনে করেছে, এই চরিত্রে দর্শক তাকে প্রত্যাখ্যান করবেন। তার ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে একটি নরম, শক্তিহীন ভূমিকা তার কাছে অযোগ্য বলে মনে হয়েছিল।”

কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে ‘কুবেরা’ সিনেমা। এ সিনেমায় দেবা চরিত্র ধানুশ যেভাবে রূপায়ন করেছেন তা স্মরণীয়। এ বিবেচনায় এটি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার শামিল। সমালোচক-ভক্তরা এই চরিত্রটিকে ধানুশের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর চরিত্রগুলোর মধ্যে একটি বলে মন্তব্য করছেন। সিনেমাটিতে ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল