ফুটবল খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত, ৩ দিন পর মারা গেলেন যুবক
Published: 8th, July 2025 GMT
ফুটবল খেলতে গিয়ে আহত হওয়ার তিনদিন পর কিরণ মিয়া (১৯) নামে এক যুবক মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কিরণ মিয়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিত কুতুবপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
কিরণের প্রতিবেশী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বায়তুল মিয়া জানান, এলাকার যুবকরা দু’টি টিম করে গত শুক্রবার এলাকার মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিলেন। খেলার এক পর্যায়ে কিরণ বল নিয়ে গোল দিতে গেলে প্রতিপক্ষের গোলকিপারের সঙ্গে ধাক্কা খেলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই গতকাল সোমবার দুপুরে মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এলাকার ওই খেলার মাঠে জানাজা শেষে গ্রামের গোরস্থানে কিরণকে দাফন করা হয় বলে জানান ইউপি সদস্য বায়তুল মিয়া।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এলএনজি আমদানি ও গাইবান্ধায় আশ্রয়কেন্দ্রে বরাদ্দ ৮১৩ কোটি
দেশের জ্বালানি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চাহিদা মেটাতে এক কার্গো এলএনজি আমদানি এবং গাইবান্ধা জেলায় ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দুটি প্রকল্পে মোট ৮১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, পেট্রোবাংলা স্পট মার্কেট থেকে ১৪-১৫ আগস্ট ২০২৫ সময়ের মধ্যে এক কার্গো (৩৪তম) এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আন্তর্জাতিক কোটেশন আহ্বান করে। এতে ২৩টি চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানানো হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। সবগুলো প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
মূল্যায়নের পর সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সিঙ্গাপুরের ভাইটাল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডকে এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.৬২ মার্কিন ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৫৩১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, গাইবান্ধা জেলার ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্মাণের পূর্ত কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪টি প্রস্তাব রেসপনসিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা মো. রাশেদুজ্জামান পিটার ও মেসার্স হামীম ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এই কাজ বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সরকার বলছে, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে দেশের জ্বালানি সরবরাহে স্বস্তি আসবে, অন্যদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন নিরাপদ আশ্রয়ের সুযোগ নিশ্চিত হবে।
ঢাকা/হাসনাত/ইভা