সময়ের চাকা ঘুরে ফিরে এলেন সেই প্রিয় ঠিকানায়। যেখান থেকে একদিন পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের আকাশছোঁয়া স্বপ্নের পথে। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী উইঙ্গার, ১৮ বছরের দীর্ঘ বিদেশ যাত্রার অবসান ঘটিয়ে ফিরে এসেছেন নিজের শৈশবের ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালে। আর ফিরেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ‘এল ফিদেও’। পরিচিত মাঠ, প্রিয় জার্সি; সব মিলিয়ে আবেগের ঢেউয়ে ভেসে যান তিনি।

মাত্র চার বছর বয়সে রোসারিওর একাডেমিতে নাম লিখিয়েছিলেন ডি মারিয়া। এরপর ২০০৫ সালে ক্লাবটির সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তার। কিন্তু অপেক্ষা বেশিদিন ছিল না—মাত্র দুই বছর পরই ইউরোপিয়ান ফুটবলের ডাক পান। সেখান থেকে শুরু হয় এক অলৌকিক যাত্রা— বেনফিকা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস হয়ে আবারও ফিরে যান বেনফিকায়। আর সেই পর্তুগিজ ক্লাবেই শেষ করেন ইউরোপীয় অধ্যায়ের শেষ পৃষ্ঠা।

এখন বয়স ৩৭। চুক্তির মেয়াদ শেষে কোনো মোটা অঙ্ক নয়, কোনো ট্রান্সফার ফি নয়— একটি হৃদয়ের টানেই আবারও নিজের শেকড়ে ফিরলেন তিনি। রোসারিওর হয়ে প্রথম অধ্যায়ে খেলেছিলেন ৩৯টি ম্যাচ, করেছিলেন ৬টি গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট। এবার শুরু করতে যাচ্ছেন ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়— যার প্রতিটি মিনিট হতে যাচ্ছে আত্মিক এক অভিসার।

আরো পড়ুন:

রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি রিয়াল-পিএসজি

মুসিয়ালার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, মাঠের বাইরে থাকবেন কয়েক মাস

সংবাদ সম্মেলনে আবেগের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ডি মারিয়া বলেন, “লিও (মেসি) ও জাতীয় দলের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। গত বছর যখন ফিরে আসিনি, তখনও ওরা পাশে ছিল। ওরা কেবল বন্ধু নয়, আমার ভাইয়ের মতো। লিও লিখেছিল—‘আরও কিছুদিন চালিয়ে যাও।’ সে জানত এটা আমার স্বপ্ন ছিল।”

মেসির বার্তায় যেমন ভরসা ছিল, তেমনি ছিল নিজের ভেতরের গভীর আকাঙ্ক্ষা। এখন সেই স্বপ্নের ঠিকানায় ফিরেই শুরু হবে নতুন এক অধ্যায়।

আগামী বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, কোপা সান্তা ফে’র ম্যাচে ৯ দে জুলিওর বিপক্ষে মাঠে নামবে রোসারিও সেন্ট্রাল। সেখানেই হয়তো আবারও দেখা যাবে, কতটা ভালোবাসা নিয়ে ডি মারিয়া খেলেন সেই মাটির জন্য, যেখান থেকে উঠে এসেছিলেন বিশ্বমঞ্চে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রবিবার থেকে মেট্রো ১ ঘণ্টা বেশি চলবে, ট্রিপ বাড়ানোরও প্রস্তুতি

মেট্রোরেল পরিচালনার সময় আগামী রবিবার থেকে দিনে এক ঘণ্টা করে বাড়ানো হচ্ছে; এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধিরও জোর প্রস্তুতি চলছে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) মেট্রোরেল নির্মাণ-পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ট্রিপ বাড়লে দুটি ট্রেন চলাচলের মধ্যবর্তী বিরতি অন্তত ২ মিনিট করে কমে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নতুন সূচিতে সেবা, ট্রেন পাওয়া যাবে সোয়া ৪ মিনিট পরপর

২ দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন 

ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, মেট্রোরেল চালুর পর যাত্রী সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে দিনে এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে মেট্রোরেল চালানোর চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে শনি থেকে বৃহস্পতিবার সপ্তাহে ছয় দিন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। আগামী রবিবার নতুন সূচিতে চলাচল শুরু হলে এই স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে প্রথম ট্রেন ছাড়বে। এখন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সবশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়ে। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।

বর্তমানে মতিঝিল থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায়। নতুন সূচিতে সকাল ৭টায় ছাড়বে। রাতে মতিঝিল থেকে সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। মতিঝিল থেকে ছাড়া সবশেষ ট্রেন এখন উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১০টার পর। নতুন সূচিতে পৌঁছাবে রাত পৌনে ১১টার দিকে।

এখন শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। নতুন সূচিতে সময় আধাঘণ্টা এগিয়ে বেলা আড়াইটায় চলাচল শুরু হবে। রাতে চলাচলের সময় বাড়বে আধা ঘণ্টা।

মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রথমে বাড়তি এক ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএমটিসিএল।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। এর মাঝে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বৈঠকে প্রথমে বাড়তি এক ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএমটিসিএল। অন্যদিকে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ট্রিপ বাড়লে দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি অন্তত দুই মিনিট কমে যাবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে ৪ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। বাড়তি সময় ও ট্রিপ শুরু হলে যাত্রীসংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ডিএমটিসিএল প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ