যুবদলের বহিষ্কৃত সেই নেতাকে গুলির পর রগ কেটে হত্যা
Published: 11th, July 2025 GMT
খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
মাহবুবুর রহমান মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে। তিনি দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেন।
আরো পড়ুন:
যশোরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
যমজ শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার মায়ের
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, ‘‘মাদক বিক্রি নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্ৰুপের সঙ্গে মাহাবুবের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে হামলা কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের গ্ৰেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। মাহাবুবের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে।’’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে যুবদল নেতা মাহবুবের রাম দা হাতে একটি ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই সংগঠন থেকে মাহাবুবকে বহিষ্কার করা হয়।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ ব এনপ দ লতপ র থ ন ম হব ব য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে এক পক্ষের হামলায় আহত দুই ভাই মারা গেছেন। বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এক ভাই, পৌনে ১০টার দিকে আরেক ভাই মারা যান। গতকাল মঙ্গলবারের হামলায় আহত হয়ে তাঁরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিলন আলী (৬০) ও তাঁর আলম আলী (৫৫)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সনকাই গ্রামে। মিলনের মৃত্যুর প্রায় দুই ঘণ্টা পরে মারা যান আলম আলী।
আরও পড়ুনচাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে হামলায় আহত ১৪, বাড়িঘর ভাঙচুর১৪ অক্টোবর ২০২৫মৃত দুই ভাইয়ের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গোমস্তাপুর উপজেলার রূপপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম (তুহিন) ও নাচোল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের (খোকন) সমর্থকদের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত রোববার তুহিন-খোকন পক্ষের লোকজনের মারধরে আমিনুলের পক্ষের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার জেরে গতকাল মঙ্গলবার আমিনুলের সমর্থকদের হামলায় ওই দুই ভাইসহ ১৪ জন আহত হন।
মিলন আলীর ছোট ভাই সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলায় আহত হয়ে তাঁর আরও দুই ভাই ও এক ভাতিজা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত মিলন আলীর ছেলে রাব্বানীর অবস্থা গুরুতর।
বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও দলটির নেতাদের ভাষ্য, এটা রাজনৈতিক কারণে হয়নি।
মঙ্গলবার হামলার বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, দুই পক্ষে বিএনপির লোকজন থাকলেও হামলা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়নি। স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। একই কথা বলেছিলেন, নাচোল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে নয়, স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতির দ্বন্দ্ব থেকে ঘটেছে।