চিকিৎসা মনঃপূত না হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে হেনস্তা করেছেন বদিউজ্জামান মিন্টু নামের এক বিএনপি নেতা। প্রতিবাদ করায় এক নারীকে কয়েকটি থাপ্পড়ও মারেন তিনি। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে।

বদিউজ্জামান মিন্টু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। হেনস্তার শিকার মেডিকেল অফিসার প্লাবন হালদার সমকালকে জানান, শুক্রবার দুপুরে জরুরি বিভাগে গিয়ে বিএনপি নেতা মিন্টু বলেন ৩ দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাঁর পা কেটে গেছে। এতে তিনি তাঁকে টিটেনাস ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তা মনঃপূত হয়নি মিন্টুর। তিনি ব্যবস্থাপত্রটি ছিঁড়ে চিকিৎসকের টেবিলের ওপর ছুড়ে মেরে বের হচ্ছিলেন। এতে ওই চিকিৎসক বলেন, এসব লোক কোথা থেকে আসে! এ কথা শুনে মিন্টু ঘুরে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। তিনি (প্লাবন) পেছন দিকে সরে গেলে তাঁকে গালাগাল করেন মিন্টু। এ সময় সামনে থাকা এক নারী এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে কয়েকটি থাপ্পড় দেন মিন্টু।

মারধরের শিকার বিথি আক্তার (৩৪) সমকালকে বলেন, ‘বড় বোনের চিকিৎসার পরামর্শ নিতে জরুরি বিভাগে গিয়েছিলাম। বিএনপি নেতা মিন্টুকে চিনতাম না। উগ্র আচরণ দেখে শুধু বলেছি, একজন ডাক্তারের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক না।’ এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু তাঁর গালে ও মাথায় কয়েকটি থাপ্পড় দেন। চিকিৎসককে জড়িয়ে তাঁকে গালাগাল করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু সমকালকে বলেন, ‘৩ দিন আগে পা কাটায় আমাকে টিটেনাস ইনজেকশন নিতে পরমর্শ দেন ডা.

প্লাবন। তখন আপত্তি জানিয়ে বলি, অন্য চিকিৎসকরা বলেছেন দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিটেনাস নিতে হয়। এটা বলে আমি বের হচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে ডা. প্লাবন বলেন, এসব আজেবাজে লোক কেন আসে।’

মিন্টু জানান, এতে তাঁর সঙ্গে থাকা দু’জন এর প্রতিবাদ করেন। তখন চিকিৎসকের সামনে থাকা এক নারী তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান। তাঁর সঙ্গে কথাকাটাকাটি ছাড়া বেশি কিছু হয়নি।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি তিনি জেলা সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল প ল বন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসককে হেনস্তা, নারীকে চড়থাপ্পড় বিএনপি নেতার 

চিকিৎসা মনঃপূত না হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে হেনস্তা করেছেন বদিউজ্জামান মিন্টু নামের এক বিএনপি নেতা। প্রতিবাদ করায় এক নারীকে কয়েকটি থাপ্পড়ও মারেন তিনি। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে।

বদিউজ্জামান মিন্টু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। হেনস্তার শিকার মেডিকেল অফিসার প্লাবন হালদার সমকালকে জানান, শুক্রবার দুপুরে জরুরি বিভাগে গিয়ে বিএনপি নেতা মিন্টু বলেন ৩ দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাঁর পা কেটে গেছে। এতে তিনি তাঁকে টিটেনাস ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তা মনঃপূত হয়নি মিন্টুর। তিনি ব্যবস্থাপত্রটি ছিঁড়ে চিকিৎসকের টেবিলের ওপর ছুড়ে মেরে বের হচ্ছিলেন। এতে ওই চিকিৎসক বলেন, এসব লোক কোথা থেকে আসে! এ কথা শুনে মিন্টু ঘুরে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। তিনি (প্লাবন) পেছন দিকে সরে গেলে তাঁকে গালাগাল করেন মিন্টু। এ সময় সামনে থাকা এক নারী এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে কয়েকটি থাপ্পড় দেন মিন্টু।

মারধরের শিকার বিথি আক্তার (৩৪) সমকালকে বলেন, ‘বড় বোনের চিকিৎসার পরামর্শ নিতে জরুরি বিভাগে গিয়েছিলাম। বিএনপি নেতা মিন্টুকে চিনতাম না। উগ্র আচরণ দেখে শুধু বলেছি, একজন ডাক্তারের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক না।’ এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু তাঁর গালে ও মাথায় কয়েকটি থাপ্পড় দেন। চিকিৎসককে জড়িয়ে তাঁকে গালাগাল করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু সমকালকে বলেন, ‘৩ দিন আগে পা কাটায় আমাকে টিটেনাস ইনজেকশন নিতে পরমর্শ দেন ডা. প্লাবন। তখন আপত্তি জানিয়ে বলি, অন্য চিকিৎসকরা বলেছেন দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিটেনাস নিতে হয়। এটা বলে আমি বের হচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে ডা. প্লাবন বলেন, এসব আজেবাজে লোক কেন আসে।’

মিন্টু জানান, এতে তাঁর সঙ্গে থাকা দু’জন এর প্রতিবাদ করেন। তখন চিকিৎসকের সামনে থাকা এক নারী তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান। তাঁর সঙ্গে কথাকাটাকাটি ছাড়া বেশি কিছু হয়নি।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি তিনি জেলা সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ