১৬ বছর পর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভাণ্ডারিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে সম্মেলন শেষে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমন সভাপতি ও সাবেক সদস্য সচিব মো. মনির হোসেন আকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া আবুল কালাম আজাদ মলাদ জমাদ্দারকে এক নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ও মো.

রুহুল আমিন মুন্সীকে দুই নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক  নির্বাচিত করা হয়। মো. দেলোয়ার হোসেন বিপ্লব হয়েছেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক এবং  পিরোজপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি আহ্বায়ক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এলিজা জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি নুরুল ঈমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট খায়রুল বাসার শামীম ও  শেখ হাসানুল কবির লীন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে সরকার’

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই। নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। মিটফোর্ডে খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা আমাদের উদ্দেশ্য। ভোট দিয়ে মানুষ যাতে ভালো অনুভব করেন, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে বিগত সময়ে সাংবাদিকরা যে ধরনের সমস্যায় পড়তেন, এবার সে সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনারা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধি থাকে, এবারও থাকবে। আপনারা সেটা ফলো করবেন। এরপরও বাধার সৃষ্টি হলে একজন অফিসারকে ডেজিগনেট করে দেওয়া হবে, তিনি কথা বলে বাধা-বিপত্তি দূর করতে কাজ করবেন।”

উপ-প্রেস সচিব আরো বলেন, “কারো প্রতি সরকারের কোনো রাগ-অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটা দেখা হবে। এবার প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন। অনিয়ম দেখলে দ্বিধাহীন চিত্তে রিপোর্ট করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো দ্রুত কেটে যাবে।”

তিনি বলেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। গত ৫ বছরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে হয়রানি করা হয়েছিল। সেটা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বোতলে পুরনো মদ সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছিল, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকের নামে হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যম দু-একটি প্রকাশ হতে শুরু করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোনো চ্যানেল বন্ধ হয়নি, বরং চালু হচ্ছে। এখন সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হন না। সাংবাদিকতা করার কারণে কোনো মামলা-হয়রানি হয়নি।”

এ সভায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ