জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আবেদনকারীরা ৩০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।

এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক আবেদন শেষে আবেদনকারীদের আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নির্ধারিত ফি বাবদ ৪০০ টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি বা সরাসরি জমা দেওয়ার মাধ্যমেই ফি পরিশোধ করা যাবে। আবেদন ফরম কলেজ কর্তৃক অনলাইনে নিশ্চয়নের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ আগস্ট। এরপর কলেজগুলো আবেদনকারীদের প্রাথমিক আবেদন ফি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অংশ (প্রতি আবেদনকারী ৩০০ টাকা হারে) সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় ভর্তি ফান্ডে জমা দেবে। এই টাকা জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ফি জমা দিতে হলে সংশ্লিষ্ট কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে লগইন করে অ্যাপ্লিকেশন পেমেন্ট ইনফো (প্রিলি.

) অপশন থেকে পে-স্লিপ ডাউনলোড করে, তা প্রিন্ট করে নিয়ে সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনপাস করা সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও খালি থাকবে ১৩ লাখ আসন ৯ ঘণ্টা আগে

তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্য শর্ত ও নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। একই সঙ্গে ভর্তি–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ, মাসিক হাতখরচের অর্থও মিলবে০৯ জুলাই ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৪৩ খাতে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা আগের মতোই বহাল রেখেছে সরকার। জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানি প্রণোদনা এবং নগদ সহায়তার হার পণ্যভেদে দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, তিন কারণে রপ্তানি খাতে আর্থিক প্রণোদনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সময়সীমা আরও পাঁচ মাস পিছিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী বছরের (২০২৬) জুলাই থেকে এটি কার্যকর করার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে আগামী বছরের নভেম্বর মাস নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, যে কারণে এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অধিক হারে শুল্কারোপ, স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে ভারতের বিধিনিষেধ এবং গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিল্প খাতে অস্থিরতা। বিগত সাত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি খাতে প্রণোদনা দেওয়ার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। এই আর্থিক প্রণোদনার সিংহভাগ (৮০ ভাগের বেশি) পেয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের দুই দফায় রপ্তানি প্রণোদনা কমায়। তখন বলা হয়, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর কোনো ধরনের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যায় না। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর একবারে সহায়তা প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই ধাপে ধাপে সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কোন খাতে কত প্রণোদনা

নগদ সহায়তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত। দেশি সুতা ব্যবহার করে উৎপাদিত তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানি করলে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রণোদনা মিলবে; যা গত বছরের জুনের আগে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ১০ শতাংশ এবং ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদারে ৬ শতাংশ প্রণোদনা মিলবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ মিলবে।

কয়েক বছর ধরেই পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমছে। তারপরও বৈচিত্র্যময় পাটপণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা বহাল থাকবে। এ ছাড়া পাটজাত পণ্যে ৫ শতাংশ এবং পাট সুতায় প্রণোদনা মিলবে ৩ শতাংশ। একইভাবে হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ, ওষুধের কাঁচামালে ৫ শতাংশ, বাইসাইকেল রপ্তানিতে ৩ শতাংশ এবং আসবাব পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা থাকবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া হিমায়িত চিংড়ি, মোটরসাইকেল, ইলেকট্রনিকস, পেট বোতল ফ্লেক্স, জাহাজ, প্লাস্টিক পণ্য, হাতে তৈরি পণ্য যেমন হোগলা, খড়, আখ বা নারিকেলের ছোবড়া, তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট, গরু, মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ, কাঁকড়া, কুঁচে, আগর, আঁতর ইত্যাদি পণ্য রপ্তানিতেও নগদ সহায়তা আগের মতো থাকবে।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানিতে নগদ সহায়তার অর্থ পেতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয় ব্যবসায়ীদের। এটি কমিয়ে আনতে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে যেভাবে প্রণোদনা দেয়, সেভাবে রপ্তানিকারকদেরও দিতে পারে সরকার। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভারত বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশে ঘটছে উল্টো। এদিকে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি খরচ বাড়লেও প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এশিয়ায় হতাশা, জয়-পরাজয় কার
  • ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি কীভাবে মোকাবিলা করছে দেশগুলো, বাজারের কী প্রতিক্রিয়া
  • ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগ, চুয়েট শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
  • তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা
  • এত কিছুর পরও নির্বাচন নিয়ে ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের দোলাচল কেন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পরীক্ষা স্থগিত