জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
Published: 12th, July 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আবেদনকারীরা ৩০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক আবেদন শেষে আবেদনকারীদের আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নির্ধারিত ফি বাবদ ৪০০ টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি বা সরাসরি জমা দেওয়ার মাধ্যমেই ফি পরিশোধ করা যাবে। আবেদন ফরম কলেজ কর্তৃক অনলাইনে নিশ্চয়নের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ আগস্ট। এরপর কলেজগুলো আবেদনকারীদের প্রাথমিক আবেদন ফি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অংশ (প্রতি আবেদনকারী ৩০০ টাকা হারে) সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় ভর্তি ফান্ডে জমা দেবে। এই টাকা জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ফি জমা দিতে হলে সংশ্লিষ্ট কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে লগইন করে অ্যাপ্লিকেশন পেমেন্ট ইনফো (প্রিলি.
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্য শর্ত ও নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। একই সঙ্গে ভর্তি–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ, মাসিক হাতখরচের অর্থও মিলবে০৯ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।