জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ
Published: 23rd, July 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বঘোষিত তারিখে অনুষ্ঠিত না হওয়া পরীক্ষাগুলো ৩১ জুলাই শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিনের পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ২টায়। পরীক্ষার সময়কাল প্রশ্নপত্রে উল্লেখ থাকবে।
আরও পড়ুন২২ ও ২৪ জুলাইয়ের স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে সকাল-বিকেল হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা২ ঘণ্টা আগেসংশোধিত সূচি অনুযায়ী, দর্শন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রসায়ন, হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, জেনারেল সায়েন্স ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, মনোবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ক্রীড়াবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও সংস্কৃত বিষয়ের স্থগিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া সময়সূচি পরিবর্তনের পূর্ণ অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
*রুটিন দেখুন এখানে
আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।