Prothomalo:
2025-09-18@04:58:13 GMT

আজহারউদ্দিন ও তিনের চক্কর

Published: 25th, July 2025 GMT

টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া ব্যাটসম্যানের সংখ্যা কম নয়। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এ পর্যন্ত ১১৭ জন ব্যাটসম্যান টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নামটাকে আলাদা করতেই হয়। ভারতের সাবেক অধিনায়ক যে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে থামেননি, সেঞ্চুরি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই।

প্রথম তিন টেস্টেই সেঞ্চুরি পাওয়া আজহারের ক্যারিয়ারের শুরুর সঙ্গে ‘তিন’ এই সংখ্যাটা ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে। আজহারের টেস্ট অভিষেক ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ইংল্যান্ডের ভারত সফরের তৃতীয় টেস্টে। আজহার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ১৯৮৫ সালের জানুয়ারির ৩ তারিখে।

১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইডেন গার্ডেনে সেই টেস্টটি শুরু হলেও ২ জানুয়ারি রেস্ট ডে হওয়ায় ৩ জানুয়ারি ছিল ম্যাচের তৃতীয় দিন। দিনের কোন সেশনে আজহার ১০০ ছুঁয়েছিলেন জানেন, তৃতীয় সেশনে!

এরপর চেন্নাই টেস্টে ১০৫ রান করা আজহার কানপুরে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনে ব্যাট করে।

আরও পড়ুনহেডিংলি ১৯৮১: বোথাম, উইলিস এবং ৫০০-১ বাজি জেতার অলৌকিকতা ২১ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজহ র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ