রেকর্ড গড়া পন্তের ভাঙা পা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামার গল্প বললেন শার্দুল ঠাকুর
Published: 25th, July 2025 GMT
ঋষভ পন্ত মানেই এখন নতুন নতুন রেকর্ড। গতকাল ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভাঙা পা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে যোগ করেছেন ১৭ রান। ৩৭ রানে আগের দিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া এই ক্রিকেটার আউট হন ৫৪ রানে।
এই ১৭ রান তোলার পথে জফরা আর্চারের বলে একটি ছক্কা মারেন পন্ত। তাতে যৌথভাবে পন্ত এখন টেস্টে ভারতের সর্বোচ্চ ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান। তাঁর সমান ৯০টি ছক্কা আছে শুধু বীরেন্দর শেবাগের, তিনি পন্তের চেয়ে ৯৬টি টেস্ট ইনিংস বেশি খেলেছেন।
টেস্টে মাত্র ৮২ ইনিংসে ৯০ ছক্কা মারা পন্ত যে ভারতের সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হবেন, সেটি এখন সময়ের ব্যাপার। ভারতের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিই হয়তো ছোঁবেন টেস্টে ১০০ ছক্কা মারার মাইলফলক। ৯০টি ছক্কার মধ্যে পন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই মেরেছেন ৩৮, টেস্টে কোনো দলের বিপক্ষে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯টি ছক্কা মারার রেকর্ড আছে বেন স্টোকসের। এই রেকর্ডও হয়তো পন্তেরই হবে। বয়সে যে পন্ত (২৭) স্টোকসের (৩৪) চেয়ে ৭ বছর ছোট।
৯০টেস্টে পন্তের ছক্কা। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ।পন্ত রেকর্ড গড়েছেন আরও। ইংল্যান্ডে টেস্টে পন্তের রানসংখ্যা এখন ১০৩৫। প্রথম বিদেশি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে কোনো দেশের মাটিতে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন পন্ত। এই তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও তাঁরই—অস্ট্রেলিয়ায় ৮৭৯ রান।
আরও পড়ুনটানা ৬ হারের পর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুই সিরিজ জয় বাংলাদেশের৩ ঘণ্টা আগেচলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত পন্ত করেছেন ৪৭৯ রান, যা ইংল্যান্ডে কোনো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান। সামগ্রিকভাবে, টেস্ট সিরিজে পন্তের চেয়ে বেশি রান রয়েছে মাত্র পাঁচজন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের। এর আগে ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট সিরিজে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৬৪, যা করেছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে।
চোট নিয়ে ব্যাটিং করেছেন পন্ত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ব্র্যাক ব্যাংকের বাজার মূলধন এক বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
দেশের শেয়ারবাজারে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন তথা বাজার মূলধন অতিক্রম করেছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে একমাত্র দেশীয় ব্যাংক হিসেবে এই ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে ব্যাংকটি।
ব্র্যাক ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এই অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের সফল কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে দেশি–বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবিচল আস্থার প্রতিফলন। ধারাবাহিক এই সাফল্যের মূলে রয়েছে ব্যাংকের করপোরেট সুশাসন, আর্থিক সক্ষমতা ও দেশি–বিদেশি ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া সেরা ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমান।
ব্লু-চিপ শেয়ার হিসেবে বিবেচিত ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে রয়েছে। ১০ টাকা ফেস ভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের এই শেয়ারের প্রতিটির দাম গত ২১ জুলাই বেড়ে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সায় উন্নীত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের ১৯৯ কোটি তালিকাভুক্ত শেয়ারের মধ্যে পরিচালক ও স্পন্সরদের অংশ ৪৬ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হিস্যা ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া স্থানীয় প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হিস্যা হচ্ছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংক সব গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচক, যেমন—আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস), রিটার্ন অন ইকুইটি (আরওই), রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ), নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং কর–পরবর্তী মুনাফায় প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (চলতি দায়িত্ব) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাংক হিসেবে বাজার মূলধনে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। এই মাইলফলক ব্র্যাক ব্যাংকের সব শেয়ারধারী ও গ্রাহকের অবিচল আস্থার প্রতিফলন।’
তারেক রেফাত উল্লাহ খান আরও বলেন, ‘এই অর্জন সবার কাছে আমাদের শক্তিশালী সুশাসন সংস্কৃতি, বিচক্ষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি ভ্যালু ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে ব্র্যাক ব্যাংক। বর্তমানে সারা দেশে ১৯১টি শাখা, ৯৪টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১ হাজার ১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও ৮ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে এই ব্যাংকের কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে। আর গ্রাহক সংখ্যা ১৮ লাখের বেশি।