জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় এই বাংলার পক্ষে দাঁড়িয়েছে সিলেট। তবে, তখন আমরা আমাদের পূর্ণ সিলেট পাইনি। আসামের সঙ্গে সিলেটের বহু অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে।” 

তিনি বলেন, “এই পূর্ববঙ্গকে ঠকানো হয়েছে সেই বৃটিশ আমল থেকে। পাকিস্তান এবং আওয়ামী লীগ আমলেও সিলেটকে ঠকানো হয়েছে। সিলেটকে গ্যাসসহ প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে ঠকানো হয়েছে।”

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয় এনসিপির।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনা আমাদের ওপর ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে গেছে: নাহিদ

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ

দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেটে ‘জুলাই পদযাত্রা’ করেছে এনসিপি)।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “সিলেট বাংলাদেশের আত্মপরিচয়। বহু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস এখানে। ১৯৪১ ও ১৯৭১ এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সিলেট বারবার রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা চায়, বাংলাদেশ বহু সংস্কতির বহু ভাষার দেশ হবে- সিলেট তার অন্যতম প্রতীক।”

জুলাই অভ্যুত্থানে সিলেটের প্রবাসীদের অবদান স্বীকার করে তিনি বলেন, “সিলেটের প্রবাসীরা গণঅভ্যুত্থানে আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা তাদের ভুলব না। এই প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চায়, প্রবাসীরা বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণের অংশ হবে।”

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করেই এনসিপি উঠে এসেছে। আমরা আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে এসেছি। এনসিপি কোনো চাঁদাবাজ কিংবা টেন্ডারবাজ দলের নাম নয়। সংকট থেকে সমস্যা সমাধানের মধ্য দিয়েই এনসিপি উঠে এসেছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী লেখক ও নেতারা এখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।”

সিলেটে এনসিপিকে শক্তিশালী করতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অর্পিতা আপা, এহতেশাম ভাই, জুনায়েদ ভাইয়ের নেতৃত্বে আপনারা এনসিপির হাতকে শক্তিশালী করুন। আমরা আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—পরবর্তী বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ।”

সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র মুখ্য-সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, এনসিপির যুগ্ম সম্পাদক মর্তুজা সেলিমসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে সিলেটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম এনস প র প রব স আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়

ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। ডাবের পানিতে থাকে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি। তাই ডাবের পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। এর ব্যবহার শরীরের জন্য আরও অনেক কারণেই ভালো। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে এত উপকারিতায় পরিপূর্ণ ডাবের পানি কিছু মানুষের জন্য ভালো নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডাবের পানি কাদের জন্য ক্ষতিকর।

ডায়াবেটিস
আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন তাহলে আপনার ডাবের পানি পান করা উচিত নয়। কারণ ডাবের পানি পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। 

অ্যালার্জি
ডাবের পানি পান করার পরে যদি আপনার ত্বকে চুলকানি শুরু হয় বা লাল দাগ দেখা দেয়, তাহলে আপনার ডাবের পানি পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। 

আরো পড়ুন:

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

পেটের ওপরের অংশে ব্যথা, রেড ফ্ল্যাগ সিনড্রোমগুলো জেনে নিন

কিডনি রোগী
কিডনি রোগী এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও ডাবের পানি পান করা উচিত নয়। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে যা কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টার করতে পারে না। ফলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে।

সর্দি-কাশি
যদি আপনার সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হোন, তাহলে ডাবের পানি পান করবেন না। এই পানি পান করলে সর্দি-কাশি আরও বেড়ে যেতে পারে।

সূত্র: ইণ্ডিয়া টিভি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ