২০২৪-২৫, মানে গত মৌসুমটাই ছিল রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রথম। আর সেই অভিষেক মৌসুমেই দারুণ এক গল্প লিখে ফেলেছেন এমবাপ্পে!

মৌসুমের শুরু থেকেই তাঁর তুলনা হচ্ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে, যার রিয়াল-যাত্রার শুরুটাও ছিল এক দিগ্বিজয়ীর আগমন বার্তা দিয়ে।

২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়ালে পা রেখেছিলেন রোনালদো। এরপরের ইতিহাস তো রিয়ালের সঙ্গে তাঁর মহাকাব্যিক সম্পর্কের গল্প: চারবার ব্যালন ডি’অর জয়, ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা, টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, আর গোলসংখ্যার প্রায় সব রেকর্ডে নাম লেখানো।

১৫ বছর পর রিয়ালে এমবাপ্পের শুরুটাও হলো তাঁর ছোটবেলার ‘হিরো’র মতোই, কিংবা এর চেয়েও ঝলমলে। যদিও রিয়ালের হয়ে এমবাপ্পের সাফল্যের পাল্লাটা রোনালদোর মতো ভারী হতে অনেক সময় লাগবে, কিন্তু প্রথম মৌসুমেই তিনি যা করেছেন, তাতে সেই আশা খুব ভালোভাবেই করতে পারেন রিয়াল–সমর্থকেরা।

গোলের হিসাবে রিয়ালে প্রথম মৌসুমে রোনালদোর চেয়ে এমবাপ্পেই উজ্জ্বল। অভিষেক মৌসুমেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এমবাপ্পে করেছেন ৪৪ গোল, রোনালদোর চেয়ে ১১টি বেশি। অবশ্য এমবাপ্পে ম্যাচও বেশি খেলেছেন ২৪টি।

অন্যদিকে রোনালদো গোল করিয়েছিলেন ১০টি, এমবাপ্পের চেয়ে ৫টি বেশি। মাত্র ৩৫ ম্যাচেই রোনালদোর তাই অবদান ছিল ৪৩টি গোলে, যেখানে এমবাপ্পে ৫৯ ম্যাচ খেলে অবদান ৪৯ গোলে।

দুজনই নিজেদের অভিষেক মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। তবে এমবাপ্পে এক মৌসুমে সাতটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করে গড়েছেন অনন্য রেকর্ড। ক্লাব ইতিহাসে আর কোনো খেলোয়াড়ের এই কীর্তি নেই। করিম বেনজেমা একই মৌসুমে ছয়টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করেছিলেন। রোনালদো যা করতে পারেননি কখনো।

দলীয় ট্রফি ও ব্যক্তিগত পুরস্কার

রোনালদো তাঁর অভিষেক মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কোনো ট্রফি জেতেননি। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত পুরস্কারও ছিল না তাঁর ঝুলিতে। অন্যদিকে এমবাপ্পে জিতেছেন দুটি শিরোপা: উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। এই দুটি ফাইনালেই গোল করেছেন এমবাপ্পে।

রোনালদোকে নিজের আদর্শ মনে করেন এমবাপ্পে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব প প র ন এমব প প গ ল কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’

অন্তবর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সবাইকে ধৈর্য ধরে বিচার প্রক্রিয়া, সংস্কার এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সারাদেশ এখন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিবিদ্যালয়ে নির্মিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, অদম্য ২৪ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মিত জুলাইয়ের ভিডিও ও ফটো ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন।

আরো পড়ুন:

জবির পরিত্যক্ত ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করল ছাত্রদল

রাকসু থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে যারা

আদিলুর রহমান খান বলেন, “১ বছর আগে বাংলাদেশে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্যই পারে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে। বিচার প্রশ্নে বলতে চাই কোনো অবস্থাতেই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া সরকার বিচারের ক্ষেত্রে দুর্বলতা স্কোপ রাখবে না। খুব দ্রুতই বেশ কয়েকটি বিচারের কাজ দৃশ্যমান হবে।”

তিনি আরো বলেন, “তরুণ ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি এবং দেশকে বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।” এছাড়া স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ বিভাজন ভুলে একাত্ম হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

সমাপনী বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “সংঘবদ্ধ আন্দোলনে ৫ আগস্ট আমরা বিজয় অর্জন করেছি। এর মানে এই নয় যে, অন্য যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আর স্বর আপনারা শুনবেন না। আপনারা দেখবেন, জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সচেতন এবং কথা বলার ব্যাপারে উন্মুক্ত।”

তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আবার স্মরণ করিয়ে দিলাম, আমরা যদি বাংলাদেশে কোনো অশান্তি দেখি, বৈষম্য দেখি, পরাজয়ের কালো মেঘ দেখি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য সংগ্রামীরা আবারো তাদের সেই কার্যক্রম শুরু করবে। গোটা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে, আবার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ -উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলমসহ জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরাও বক্তব্য দেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ