সোবার্সের জন্মদিনে ধমক খেতে খেতে করা সেই সাক্ষাৎকারের গল্প
Published: 28th, July 2025 GMT
৮৮তম জন্মদিনটা কীভাবে উদ্যাপন করছেন স্যার গ্যারি সোবার্স! আছেনই–বা কোথায়? হয়তো বারবাডোজে নিজের বাড়িতেই। সেখানে উপহার হাতে নিশ্চয়ই হাজির হয়েছেন ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীদের অনেকেই। ছোট্ট ওই ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষ তিনি, সন্দেহাতীতভাবে সবচেয়ে জনপ্রিয়ও। ‘স্যার গ্যারি’ নামটা উচ্চারণ করামাত্রই আবেগ আর গর্বে উদ্বেল হয়ে যেতে দেখেছি বারবাডোজের আবালবৃদ্ধবনিতাকে। তাঁর জন্মদিন তো তাই বলতে গেলে বারবাডোজের জাতীয় উৎসবই!
মনে অবশ্য প্রশ্ন জাগছেই, জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা ভক্তদের কি সাদর অভ্যর্থনা জানাতে পেরেছেন স্যার গ্যারি! ভঙুর শরীরের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে তাঁদের মনে করিয়ে দিতে পেরেছেন, ক্রিকেট খেলাটা তাঁর চোখে কী! আমাকে বারবারই যা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
স্যার গ্যারি সোবার্সের কাছে ক্রিকেটের বৃহত্তর একটা অর্থ আছে। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের কাছে ক্রিকেট মানে—সবার ওপরে বিনোদন সত্য, তাহার ওপরে নাই। নিজে ক্রিকেটটা ওভাবেই খেলেছেন, এখনো সবাইকে ওভাবেই খেলতে দেখতে চান। এ কারণেই সে সময়, মানে ২০০৯ সালে যখন তাঁর ইন্টারভিউ করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্রিয়াশীল ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হিসেবে বলেছিলেন বীরেন্দর শেবাগের নাম। কারণটাও বলে দিয়েছিলেন একটা দারুণ বাক্যেই: ক্রিকেটটা যেভাবে খেলা উচিত, ও ওভাবেই খেলে।
সোবার্সের ক্রিকেট মানে ছিল আনন্দের নির্ঝরিণী। ব্যক্তি সোবার্সও নাকি তা-ই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক কিংবদন্তি এভারটন উইকস তো তাঁর প্রিয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সোবার্সের নাম বলে সঙ্গে এটা যোগ করে দেওয়াটাকে কর্তব্য বলে মনে করতেন, ‘ও যত বড় ক্রিকেটার ছিল, তার চেয়েও বড় মানুষ।’
প্রথম পরিচয়ে আমারও তা-ই মনে হয়েছিল। বারবাডোজে নিজের নামে বেশ কয়েক বছর ধরে একটা স্কুল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আসছেন। সেটির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ককটেল পার্টিতে সোবার্সকে দেখে তো মুগ্ধ। এত সহজভাবে সবার সঙ্গে মিশছেন। তারকাসুলভ অহমিকার কোনো চিহ্নই নেই। পরিচয় দিতেই হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিলেন। মুঠোতে আমার হাত ধরে রেখেই বললেন, ‘হোপ ইউ আর এনজয়িং ক্যারিবিয়ান।’
২০১৫ সালে গ্যারি সোবার্স.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব রব ড জ
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।