রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা–পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে ক্লাস নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস নেন। এসময় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নয় বছর পার হলেও এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত মাত্র ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার ডিপিপি অনুমোদন পায়নি। এই দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুলাই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’-এর কর্মসূচি বয়কট করেন তাঁরা। এরপরও গতকাল অনুষ্ঠিত একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি এজেন্ডাভুক্ত হয়নি, যা আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরের প্রকল্পটি উপেক্ষিত রয়ে গেছে। যা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যের ইঙ্গিত বহন করে। অথচ প্রয়োজনীয় সব শর্ত ও কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ডিপিপি অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত তারা রাজপথেই শ্রেণিকাজ চালিয়ে যাবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুনরায় মহাসড়কে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/হাবিবুর/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা