মেয়াদোত্তীর্ণ বাস উচ্ছেদে আবারও পরিবহন নেতাদের বাধা
Published: 28th, July 2025 GMT
পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় বাস ও ট্রাক সড়ক থেকে উচ্ছেদে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ালেন সড়ক পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকনেতারা। পাশাপাশি তাঁরা সড়ক পরিবহন আইনের সাজা শিথিল করার জন্যও চাপ দিচ্ছেন। দাবি না মানলে ধর্মঘটের মাধ্যমে পরিবহন খাত অচল করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে পুরোনো বাস-ট্রাক উচ্ছেদের উদ্যোগ আটকে দেন তৎকালীন সরকার সমর্থক পরিবহন নেতারা। সে সময় ধর্মঘটসহ নানা আন্দোলনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগও ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও একই পথে হাঁটছেন পরিবহন নেতারা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিবহন খাতের যাঁরা নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা কারাগারে কিংবা আত্মগোপনে। এখন নেতৃত্বে আছেন বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতারা।
২০ জুলাই সরকার ২০ বছরের পুরোনো বাস-মিনিবাস ও ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন জব্দ করার উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এরই মধ্যে গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। সরকার বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ বাণিজ্যিক যানবাহনের যে অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ ও ২৫ বছর নির্ধারণ করেছে, তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করাসহ আট দফা দাবি জানায়। তাদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সাজার যে ধারা রয়েছে, তা সংশোধন করতে হবে। দাবি না মানলে আগামী ১২ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি এম এ বাতেন, মহাসচিব সাইফুল আলম প্রমুখ। তাঁরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শ্রমিকনেতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান। এর মধ্যে হুমায়ুন কবির খান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক। আর আবদুর রহিম বক্স শ্রমিক দলের সহসভাপতি।
আওয়ামী লীগের আমলে শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। আর মালিক সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের সহযোগী জাতীয় পার্টির নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালের মে মাসে এক প্রজ্ঞাপনে বাসের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ বছর এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ২৫ বছর নির্ধারণ করে। এসব যান উচ্ছেদ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। উল্টো একই বছরের আগস্টে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে তৎকালীন সরকার পিছু হটে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৬ জুন পুরোনো যানবাহনের বয়সসীমার আগের প্রজ্ঞাপনটি বহাল করে। পাশাপাশি এসব যান সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০ জুলাই অভিযান শুরু করে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, দেশে পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যানবাহনের সংখ্যা ৮০ হাজার ৩০৯।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগ, পরিবহন নেতাদের ‘না’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকারের আমলে ‘যানজট ও বায়ুদূষণ’ নিরসনে পুরোনো যানবাহন উঠিয়ে দেওয়াসহ পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে দুই দফা বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠক হয় গত বছরের ২৪ অক্টোবর। পরেরটি হয় ১৯ ডিসেম্বর।
২৪ অক্টোবরের বৈঠকে পুরোনো যানবাহনের বিষয়ে দুটি বড় সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমটি হলো পরবর্তী ছয় মাস পর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া যানবাহনের নিবন্ধন বাতিল করে সড়ক থেকে প্রত্যাহার এবং সেগুলো ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে ধ্বংস করে দিতে হবে। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া যানবাহনের মালিকেরা যাতে নতুন যানবাহন কিনতে পারেন, সে জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উদ্যোগটি সড়ক পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের। এতে স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্তের পর ২০ বছরের পুরোনো বাস ও ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ঢাকা মহানগর থেকে অপসারণের বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে বিআরটিএ। গত ১৬ জানুয়ারি যানবাহন মালিক সমিতিগুলোকে বিআরটিএর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, পুরোনো যানবাহনের স্থলে নতুন যানবাহন নামাতে ব্যাংকঋণ পেতে সহায়তার প্রয়োজন হলে সরকারের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু পরিবহনমালিকেরা সরকারের এ উদ্যোগে খুব একটা সাড়া দেননি।
পরিবহনমালিকেরা বলছেন, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আগে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের হুমকি
গতকাল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা যে আট দফা দাবি পেশ করেন, এর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৯৮ ও ১০৫ নম্বর ধারা সংশোধন করতে হবে। পুরোনো বাস-ট্রাকের আয়ুষ্কাল ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা, সেটা না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হবে। এর বাইরে দাবি হচ্ছে বাজেটে বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর আরোপিত দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর কমিয়ে আগের অবস্থা বহাল করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন রাস্তা থেকে সরানোর জন্য সহায়ক হিসেবে বাণিজ্যিক রিকনডিশন্ড যানবাহন আমদানির সময়সীমা ৫ থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করতে হবে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়ার বিধান কার্যকর করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন করা। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন ও অনুমোদনহীন হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুত দেওয়া এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা বাস্তবায়ন করা।
সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮ ও ১০৫ ধারায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে শাস্তির বিধান রয়েছে। এগুলো অজামিনযোগ্য অপরাধ।
১০৫ ধারায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ৯৮ ধারাটিও সড়ক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত। এ ধারায় নির্ধারিত গতির অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালালে, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, ওভারলোডিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা হলে এর জন্য চালক, কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারীর তিন বছরের কারাদণ্ড কিংবা তিন লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন৮ দফা না মানলে ১২ আগস্ট থেকে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি২৭ জুলাই ২০২৫শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাস হয়। প্রত্যাশা ছিল কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে, কমবে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনা। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের পর পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা একাধিকবার ধর্মঘট ডেকে পরিবহন খাত অচল করে দেন। ফলে এর পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ করা যায়নি।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন চলতে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন কিংবা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। কারণ, আমরা গবেষণায় পেয়েছি যে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ যান এবং বেপরোয়া গতি। এই মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো এবং মানুষের মৃত্যু তো হত্যার শামিল। ফলে তাদের চাপে সরকারের নতি শিকার করা ঠিক হবে না।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ সড়ক পর বহন বছর র প র ন পর বহন খ ত পর বহন ন ত ও ২৫ বছর স গঠন র ব আরট এ দ র ঘটন সরক র র র জন য মন ত র আগস ট র আমল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।
জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।
কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।