রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে আহত দুই, কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন
Published: 28th, July 2025 GMT
টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহরের জেলা পরিষদ এলাকার পেছনে একটি পাহাড়ধসে মা ও ছেলে আহত হয়েছেন। পাশাপাশি কাউখালীতে একটি কালভার্ট ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকায় বসতবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি হয়। এতে আজ সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে রাঙামাটি শহরের জেলা পরিষদের পেছনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কার্যালয়ের পাশে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। মাটিচাপায় আহত হন এক নারী ও তাঁর ছেলে। তাঁদের রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চাল, শুকনা খাবার ও তিন হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.
একই সময়ে রাঙামাটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের পাশে একটি সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়ে। এতে পাশের একটি ভবনের ক্ষতি হয়। দেয়ালধসের আশঙ্কায় ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার এখন আতঙ্কে আছে।
অন্যদিকে আজ সকালে কাউখালী উপজেলার কলমবতি ইউনিয়নের ছোটদুলু-বটতলী সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
রাঙামাটি শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পর বহু বসতঘর ও সরকারি স্থাপনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা প্রথম আলোকে বলেন, বিএডিসি অফিসের পাশে পাহাড়টি হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে। মাটি ঘরের ভেতরে বিছানা পর্যন্ত যায়। ভাগ্যক্রমে প্রাণহানি হয়নি, তবে মা ও ছেলে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের পাশে দেয়ালধসে আশপাশের ভবনগুলো মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’