প্রায় ৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সাড়ে ১২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে কোনো স্বীকৃত ব্যবসা বা পেশাগত উৎস না থাকা সত্ত্বেও তিনি ৩টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, এসব লেনদেনের মাধ্যমে তিনি অর্থের উৎস গোপন করেছেন।

এ ঘটনায় রাদওয়ান মুজিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দসংক্রান্ত অভিযোগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন আহমেদসহ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। সেই মামলাগুলো এখন আদালতে বিচারাধীন। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ওই মামলাগুলোরও অন্যতম আসামি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র দওয় ন ম জ ব স দ দ ক

এছাড়াও পড়ুন:

জেমকন গ্রুপের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক

প্রায় ১১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদ এবং তাঁর ভাই কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। একই সঙ্গে তাঁর নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ৭৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও করা হবে।

অন্য মামলায় কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। এ ছাড়া তাঁর নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।

দুদক বলছে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক ডিজি আবুল কালামের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
  • সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে কারচুপির অভিযোগকারী ছাত্রীকেই সন্দেহ কমিশনের
  • আসাদুজ্জামান নূরের চারটি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি জব্দের আদেশ
  • জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর বিরু‌দ্ধে মামলা কর‌বে দুদক
  • জেমকন গ্রুপের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক