রাজশাহী বিএমডিএ ভবনের সামনে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 28th, July 2025 GMT
রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবিতে আজ সোমবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। পরে বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা কর্মসূচি শেষ করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা রুয়েট থেকে বাসে করে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরের বর্ণালি মোড়ে বিএমডিএ ভবনের সামনে জড়ো হন। তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং স্লোগান দেন। এ সময় তিন শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বিএমডিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তাঁরা তিন দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (সপ্তম গ্রেড) পদে নিয়োগ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে, কোনো প্রমোশনাল কোটা থাকবে না; উপসহকারী ইঞ্জিনিয়ার (অষ্টম গ্রেড) পদে সব ধরনের ডিপ্লোমা কোটা বাদ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে; বর্তমানে বিএমডিএতে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পদে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে এবং ওই পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
রুয়েট শিক্ষার্থী মেহরান আল বান্না বলেন, ১৭ বছর ধরে বিএমডিএতে কোনো ধরনের নিয়োগ হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানে নিচের কর্মকর্তাদের ভারপ্রাপ্ত ও চলতি দায়িত্ব দিয়ে ওপরের দিকে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা এই পদগুলো স্থায়ী করতে চাইছেন। এ ধরনের প্রমোশন বন্ধ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। যাঁরা ওপরের ওই পদগুলো দখল করে আছেন, তাঁদের আগের পদে নামিয়ে দিতে হবে।
এ বিষয়ে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক তরিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কিছু বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। এগুলো গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
রুয়েট শিক্ষার্থীরা এর আগে ২০ জুলাই একই দাবি নিয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এমড এ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগে গত ১০ বছর বাধা দেওয়া হয়েছিল: চীনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিগত সরকারের শেষ ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি চীন। এই দুই দলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সে সময়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল চীন সফর করেছে। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, খোলাখুলিভাবে বললে, গত ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে, তাই তাঁরা পুনঃযোগাযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা এ ধরনের সফর বিনিময় ও যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে চান।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে কীভাবে বাধা দেওয়া হতো, জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটি এখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা অনুধাবন করতে পারেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চান না। তিনি কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটা উপস্থিত সাংবাদিকেরা বোঝেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গত মাসে চীন সফর করে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর হয়। অন্যদিকে চলতি মাসে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করে।
ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।