পেশাগত জীবনে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি প্রয়োজন উদ্ভাবনী চিন্তা। পাশাপাশি তাদের হতে হবে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সৃজনশীল এবং মানিয়ে চলার সক্ষমতায় পারদর্শী।

‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ক্যারিয়ার গঠন এবং নিয়োগকর্তাদের প্রত্যাশা পূরণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে করপোরেট ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম। তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীদের শুধু সনদধারী হলেই চলবে না, বরং তাদের হতে হবে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সৃজনশীল এবং মানিয়ে চলার সক্ষমতায় পারদর্শী।’ তিনি আরও বলেন, ‘করপোরেট নিয়োগকর্তারা এখন এমন কর্মী খোঁজেন, যারা কেবল কাজ জানে না, বরং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার মানসিকতা রাখে।’

শেহজাদ মুনিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কর্মজীবনের শুরুতেই ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নিজের দীর্ঘ পেশাগত জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, তা থেকে উত্তরণের উপায় এবং সফলতা অর্জনের কথাও বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শাহনীলা তাজরীন আজহার। তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি প্রয়োজন উদ্ভাবনী চিন্তা, দলগত নৈপুণ্যতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ।’ তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে নারী নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা মানসিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য জাহাঙ্গীর আলম সেমিনারে বলেন, বিইউর মূল লক্ষ্য কেবল ডিগ্রি দেওয়া নয়, বরং দক্ষ ও মানবিক গুণসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এ ধরনের সেমিনার নিয়মিত আয়োজন করে থাকে।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান মোজাক্কেরুল হুদা সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত তাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে তারা শুধু চাকরি খুঁজবে না বরং চাকরি তৈরি করবে। বিইউ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ ইউন ভ র স ট শ বব দ য ল ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ