মুরাদনগরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 1st, August 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় মামলা করেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি মো.
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন উপজেলার রহিমপুর উত্তরপাড়া এলাকার মো. শুকুর আলী, খামারগ্রাম গ্রামের আশিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, সিদ্ধেশ্বরী গ্রামের মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে নাঈম, গুঞ্জর উত্তর গ্রামের কামাল হোসেন। তাঁদের মধ্যে শুকুর আলী রড দিয়ে এক সাংবাদিককে পেটাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আসিফের অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিককে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে সাত সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।
আরও পড়ুনমুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৩৫৩০ জুলাই ২০২৫ঘটনার পর থেকে প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সাংবাদিকেরা বলছেন, আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের ওপর যারা প্রথমে হামলা করেছে, তারাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। আসিফের অনুসারীদের দাবি, সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা বিএনপি নেতা কায়কোবাদের অনুসারী। তবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের দাবি, সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা উপদেষ্টা আসিফের লোক।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার বিকেলে সমাবেশের একপর্যায়ে কর্মসূচি পালনকারীদের ওপর বিক্ষোভ বিরোধীরা হামলা চালায়। এ সময় সংবাদকর্মীরা হামলার ফুটেজ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে বিক্ষোভ বিরোধীদের মধ্য থেকে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এ সময় বাদীসহ ৭ জন সাংবাদিক আহত হন। হামলার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মুঠোফোন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেন আসামিরা।
মামলার বাদী মো. শাহে ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের মারধরের পাশাপাশি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই আসামিরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। যার কারণে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনউপদেষ্টা আসিফের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি৩১ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র অন স র ম র দনগর স ঘর ষ র ব এনপ র র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ