এবারের অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে। সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় বাকি থাকলেও এরই মধ্যে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। আর সেই লড়াই জো রুটকে নিয়ে, যিনি দুর্দান্ত ফর্মে চড়ে কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংকে রানে পেছনে ফেলেছেন, ছুটছেন শচীন টেন্ডুলকারের বিশ্ব রেকর্ডের দিকে।

ওয়ার্নার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ইংল্যান্ড যদি ২০১০-১১ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে চায়, তাহলে জো রুটকে তাঁর ‘সামনের পায়ে থাকা সার্ফবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে’।

অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ক্রিকেটে রুট এখন পর্যন্ত কোনো সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৮৯, ১৪ টেস্টে গড় মাত্র ৩৫.

৬৮। যদিও তাঁর ক্যারিয়ার টেস্ট সেঞ্চুরি ৩৮টি, ১৫৭ ম্যাচে গড় ৫১.১৭। ভারতের বিপক্ষে চলমান ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’তে পন্টিংকে ছাড়িয়ে টেস্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন রুট (মোট ১৩৪০৯)। এখন তাঁর সামনে শুধু শচীন টেন্ডুলকার (১৫৯২১)।

ওয়ার্নার মনে করেন, এবারের অ্যাশেজে রুট অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউডের বিপক্ষে এলবিডব্লু আউটের ঝুঁকিতে থাকবেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে বড় ফ্যাক্টর হলো রুট, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় এখনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি। হ্যাজলউডের কাছে তার বেশ কয়েকবার আউট হওয়ার ঘটনা আছে। তাকে নিজের সামনের পায়ে থাকা সার্ফবোর্ডটা সরিয়ে ফেলতে হবে।’

তবে ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার ও এখন স্কাই স্পোর্টসের বিশ্লেষক স্টুয়ার্ট ব্রড এক্সে পাল্টা জবাব দিয়েছেন। রুটকে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের সামনের প্যাডকে কখনো “সার্ফবোর্ড” বলতে শুনিনি। পরিষ্কার করে বলি, টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাজলউড রুটকে এলবিডব্লু করতে পেরেছেন মাত্র ৩ বার। তিন বার!’

২০২৪ সালে ১১২ টেস্টের ক্যারিয়ারকে বিদায় বলা ওয়ার্নারের মতে, আসন্ন অ্যাশেজে মূল ভূমিকা রাখতে পারেন ইংল্যান্ডের বোলাররা, ‘সবই নির্ভর করছে বোলারদের ওপর। যদি ইংল্যান্ডের বোলাররা অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে ধস নামাতে পারে, তাহলে তারা প্রতিযোগিতায় ফিরে আসবে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রুটকে নিয়ে ওয়ার্নারের বিদ্রূপ, জবাব দিলেন ব্রড

এবারের অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে। সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় বাকি থাকলেও এরই মধ্যে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। আর সেই লড়াই জো রুটকে নিয়ে, যিনি দুর্দান্ত ফর্মে চড়ে কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংকে রানে পেছনে ফেলেছেন, ছুটছেন শচীন টেন্ডুলকারের বিশ্ব রেকর্ডের দিকে।

ওয়ার্নার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ইংল্যান্ড যদি ২০১০-১১ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে চায়, তাহলে জো রুটকে তাঁর ‘সামনের পায়ে থাকা সার্ফবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে’।

অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ক্রিকেটে রুট এখন পর্যন্ত কোনো সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৮৯, ১৪ টেস্টে গড় মাত্র ৩৫.৬৮। যদিও তাঁর ক্যারিয়ার টেস্ট সেঞ্চুরি ৩৮টি, ১৫৭ ম্যাচে গড় ৫১.১৭। ভারতের বিপক্ষে চলমান ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’তে পন্টিংকে ছাড়িয়ে টেস্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন রুট (মোট ১৩৪০৯)। এখন তাঁর সামনে শুধু শচীন টেন্ডুলকার (১৫৯২১)।

ওয়ার্নার মনে করেন, এবারের অ্যাশেজে রুট অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউডের বিপক্ষে এলবিডব্লু আউটের ঝুঁকিতে থাকবেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে বড় ফ্যাক্টর হলো রুট, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় এখনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি। হ্যাজলউডের কাছে তার বেশ কয়েকবার আউট হওয়ার ঘটনা আছে। তাকে নিজের সামনের পায়ে থাকা সার্ফবোর্ডটা সরিয়ে ফেলতে হবে।’

তবে ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার ও এখন স্কাই স্পোর্টসের বিশ্লেষক স্টুয়ার্ট ব্রড এক্সে পাল্টা জবাব দিয়েছেন। রুটকে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের সামনের প্যাডকে কখনো “সার্ফবোর্ড” বলতে শুনিনি। পরিষ্কার করে বলি, টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাজলউড রুটকে এলবিডব্লু করতে পেরেছেন মাত্র ৩ বার। তিন বার!’

২০২৪ সালে ১১২ টেস্টের ক্যারিয়ারকে বিদায় বলা ওয়ার্নারের মতে, আসন্ন অ্যাশেজে মূল ভূমিকা রাখতে পারেন ইংল্যান্ডের বোলাররা, ‘সবই নির্ভর করছে বোলারদের ওপর। যদি ইংল্যান্ডের বোলাররা অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে ধস নামাতে পারে, তাহলে তারা প্রতিযোগিতায় ফিরে আসবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ