রুটকে নিয়ে ওয়ার্নারের বিদ্রূপ, জবাব দিলেন ব্রড
Published: 2nd, August 2025 GMT
এবারের অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে। সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় বাকি থাকলেও এরই মধ্যে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। আর সেই লড়াই জো রুটকে নিয়ে, যিনি দুর্দান্ত ফর্মে চড়ে কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংকে রানে পেছনে ফেলেছেন, ছুটছেন শচীন টেন্ডুলকারের বিশ্ব রেকর্ডের দিকে।
ওয়ার্নার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ইংল্যান্ড যদি ২০১০-১১ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে চায়, তাহলে জো রুটকে তাঁর ‘সামনের পায়ে থাকা সার্ফবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে’।
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ক্রিকেটে রুট এখন পর্যন্ত কোনো সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৮৯, ১৪ টেস্টে গড় মাত্র ৩৫.
ওয়ার্নার মনে করেন, এবারের অ্যাশেজে রুট অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউডের বিপক্ষে এলবিডব্লু আউটের ঝুঁকিতে থাকবেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে বড় ফ্যাক্টর হলো রুট, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় এখনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি। হ্যাজলউডের কাছে তার বেশ কয়েকবার আউট হওয়ার ঘটনা আছে। তাকে নিজের সামনের পায়ে থাকা সার্ফবোর্ডটা সরিয়ে ফেলতে হবে।’
তবে ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার ও এখন স্কাই স্পোর্টসের বিশ্লেষক স্টুয়ার্ট ব্রড এক্সে পাল্টা জবাব দিয়েছেন। রুটকে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের সামনের প্যাডকে কখনো “সার্ফবোর্ড” বলতে শুনিনি। পরিষ্কার করে বলি, টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাজলউড রুটকে এলবিডব্লু করতে পেরেছেন মাত্র ৩ বার। তিন বার!’
২০২৪ সালে ১১২ টেস্টের ক্যারিয়ারকে বিদায় বলা ওয়ার্নারের মতে, আসন্ন অ্যাশেজে মূল ভূমিকা রাখতে পারেন ইংল্যান্ডের বোলাররা, ‘সবই নির্ভর করছে বোলারদের ওপর। যদি ইংল্যান্ডের বোলাররা অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে ধস নামাতে পারে, তাহলে তারা প্রতিযোগিতায় ফিরে আসবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪০ বল হাতে রেখে ভারতকে ৪ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া
টার্গেটটা অবশ্য বড় ছিল না। মাত্র ১২৬ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা মামুলি। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাও হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ঝড়ো।
কিন্তু এরপর জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব সেই ঝড়ের লাগাম টানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সামান্য পুঁজি নিয়ে সেটা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাইতো অজিরা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৩.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে নিশ্চিত জয় করে। আর সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টির তোপে।
আরো পড়ুন:
৬ রান করেই ফিরলেন লিটন
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ১২৫ রানেই গুটিয়ে গেল ভারত
রান তাড়া করতে নেমে মিচেল মার্শ ও ট্র্যাভিড হেড ৪.২ ওভারেই তুলে ফেলেন ৫১ রান। এই রানে হেড ফেরেন ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করে। এরপর মার্শ মারতে থাকেন সুযোগ বুঝে। অষ্টম ওভারের শেষ বলে ৮৭ রানের মাথায় তিনিও ফেরেন সাজঘরে। যাওয়ার আগে ২৬ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ রান করে যান।
এরপর ৯০ রানে তৃতীয়, ১১২ রানে চতুর্থ, ১২৪ রানে পঞ্চম ও একই রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মার্কাস স্টয়েনিস ঠাণ্ডা মাথায় খেলে ৬ বলে ৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার আগে টিম ডেভিড ১, জশ ইংলিস ২০, মিচেল ওয়েন ১৪ ও ম্যাথিউ শর্ট শূন্যরানে আউট হন।
বল হাতে ভারতের বরুণ ৪ ওভারে ২৩ রানে ২টি, বুমরাহ ৪ ওভারে ২৬ রানে ২টি ও কুলদীপ ৩.২ ওভারে ৪৫ রানে নেন ২টি উইকেট। ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন হ্যাজলউড।
তার আগে মেলবোর্নে ভারত টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল দুইজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটার অভিষেক শর্মা ৩৭ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। এরপর অলরাউন্ডার হরষিত রানা ৩৩ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। বাকিদের রান ছিল- ৫,২,১,০,৭,৪,০,০,০।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড ৪ ওভারে ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। নাথান এলিস ৩.৪ ওভারে ২১ রানে ২টি ও জাভিয়ের বার্টলেট ৪ ওভারে ৩৯ রানে নেন ২টি উইকেট। মার্কাস স্টয়েনিস ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ১টি উইকেট।
ঢাকা/আমিনুল