সিলেটে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 31st, August 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি বাড়ি থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের ফুলতৈলছগাম (উত্তর পাড়া) গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া হুসনেআরা বেগম (২৫) একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ছয়দুর রহমানের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের ৩ দিন পর খাল থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
এলাকাসাসী জানান, গতকাল শনিবার রাতে হুসনেআরা তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ এবং সন্তানদের কান্না শুনে হুসনেআরা বেগমকে ডাকাডাকি করেন শাশুড়ি। সাড়া না পেয়ে পাশের বাড়ির লোকজন ডেকে আনেন তিনি।
তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে হুসনেআরা বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এসময় হুসনেআরা বেগমের দুই সন্তানকে খাদের ওপর বসে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পুলিশ সকাল ১১টায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক শাহাব উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং পরিবারের এজাহার সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/নূর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।