রাবি শিক্ষকের বাসার তালা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা চুরি
Published: 2nd, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের বাসা থেকে দুই ভরি স্বর্ণের গয়না, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ নগদ টাকা চুরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
আবেদনের যোগ্যতা ছাড়াই ১২ বছর ধরে শিক্ষকতা, তদন্তে কমিটি গঠন
চবিতে সংঘর্ষে ৪২১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত
এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় অবস্থিত শিক্ষক কোয়ার্টারের প-৩৪ নম্বর বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ড.
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজশাহীতে হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষক তার মেয়েদের নিয়ে বাসায় দ্বিতীয় তলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এই সুযোগে ওই বাসার দরজার গ্রিল ভেঙে চোর বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুইটি ল্যাপটপ, দুই ভরি সোনার গহনা, দুইটি মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, পোশাকসহ অনেককিছু চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও বাসার সবকিছু এলোমেলো করে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “গতকাল সোমবার আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে আমার বাসার দরজা ভেঙে চোর প্রবেশ করে। এ সময় আমার বাসায় থাকা দুইটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন, দুই ভরি সোনার গহনা, নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়াও আমার ছেলে মেয়েদের স্কুল ব্যাগ, কাপড়চোপড়সহ অনেককিছুই তারা নিয়ে গেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার আইডি কার্ড ও এনআইডি কার্ড নিয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “তারা যাওয়ার সময় একটা স্ক্রু ডাইভার তারা রেখে গেছেন। এই ঘটনা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পরে পুলিশ এসে তা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় এমন চুরির ঘটনা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার থাকার প্রয়োজন নেই।”
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, “আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়েছিল, ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। আমরা এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষক সকালেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরেই পুলিশ প্রশাসনেকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আশা করছি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম