ওয়ালটন হাই-টেকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক
Published: 4th, September 2025 GMT
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এই উদ্যোগে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হবে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, পিসিবি, ইলেকট্রিক বাইকের মতো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন অসংখ্য নতুন পণ্য সামগ্রী। ফলে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবসায়িক সক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে, বাজার পরিধির আরো সম্প্রসারণ ঘটবে; কমবে পরিচালন ব্যয়। সেইসঙ্গে দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন খাত আরো সমৃদ্ধ হবে। হাই-টেক ও ডিজিটাল পণ্য উৎপাদনের হাব হিসেবে বাংলাদেশে এক নতুন যুগের সূচনা ঘটবে।
একীভূতকরণের লক্ষ্যে গত ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্টিজ লিমিটেডের মধ্যে একটি পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ৪৬তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় উক্ত একীভূতকরণ (মার্জার) সংক্রান্ত এমওইউ অনুমোদিত হয়েছে।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, মোবাইল ফোন, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড বা পিসিবি, ইলেকট্রিক বাইকসহ ১২৩ ধরনের হাই-টেকনোলজির পণ্য ও এক্সেসরিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের একমাত্র মোবাইল ফোন এবং প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা স্থাপন করেছে। দেশের আপামর ক্রেতাসাধারণের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য তুলে দিয়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক। ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছর অনুযায়ী ওয়ালটন ডিজি-টেকের পেইড আপ ক্যাপিটাল ছিলো ৩০০,০০০,০০০ টাকা আর নিট রেভিনিউ ১০,১৫৯,১০০,১৪৬ টাকা এবং কর পরবর্তী মুনাফা ছিলো ১৮১,৪২৩,৬৪০ টাকা।
একই সময়ে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পেইড আপ ক্যাপিটাল ছিলো ৩,০২৯,২৮৩,৪৩০ টাকা আর নিট রেভিনিউ ৭৫,১২১,১৫৪,৬১৬.
একীভূতকরণ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মো. জিয়াউল আলম, এফসিএ, এসিএ (আইসিএইডব্লিউ) বলেন, “ওয়ালটন ডিজি-টেক দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে গুণগতমানের উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন আইটি পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে চলেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক। এমন একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ায় আমি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য, সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ অগণিত ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। এই একীভূতকরণ হলে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবসার আরো সম্প্রসারণ ঘটবে। এতে বিনিয়োগকারীগণ আরো বেশি লাভবান হবেন।”
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, “পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শুরু থেকেই পুঁজিবাজারে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরনের কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে ওয়ালটন হাই-টেক। যার ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। মৌলভিত্তিসম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হলে ওয়ালটন হাই-টেক আরো সমৃদ্ধ হবে এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত হবে।”
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হলে ওয়ালটন হাই-টেকের প্রোডাক্ট লাইন আরো শক্তিশালী হবে। প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানা স্থাপন করছে। একই সঙ্গে দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে পরিবেশবান্ধব ই-বাইক উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন হাই-টেক। ফলে ই-বাইকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের মাধ্যমে এ খাতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরির অপার সম্ভাবনা রয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের।
স্থানীয় বাজারের সিংহভাগ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন নতুন দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চলেছে ওয়ালটন হাই-টেক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন করে সাতটি দেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই ও উচ্চ গুণগতমান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব ও মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে আছে ওয়ালটন ব্র্র্র্যান্ডের পণ্য। ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বাজারে শীর্ষস্থানের পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক ভ ত ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বরফ গলে মেরু এলাকায় নতুন বাস্তুতন্ত্রের খোঁজ
তাপপ্রবাহ, ওজোন গ্যাসের উপস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে পৃথিবীর দুই মেরু এলাকার বরফ গলে যাচ্ছে। তবে উত্তর মেরুর আর্কটিক সাগরের গলিত বরফ ভিন্ন ধরনের লুকানো বাস্তুতন্ত্র প্রকাশ করছে। সেখানে ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেন গ্যাসকে পুষ্টিতে রূপান্তরিত করে শৈবালের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে দেখা গেছে। পুরু বরফের নিচে এই প্রক্রিয়া অসম্ভব বলে মনে করা হলেও এখন আর্কটিকের খাদ্যশৃঙ্খল ও বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন শোষণের জন্য এই প্রক্রিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এখন নতুন বাস্তুতন্ত্র জলবায়ুগত সুবিধা দেবে নাকি নতুন অনিশ্চয়তা নিয়ে আসবে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
আর্কটিক মহাসাগরকে দীর্ঘকাল ধরে হিমায়িত ও প্রাণহীন একটি সীমান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যখন এই অঞ্চলের সমুদ্রের বরফ গলতে শুরু করেছে, তখন পানির নিচ থেকে আশ্চর্যজনক নতুন নতুন সব তথ্য জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, গলিত বরফ আসলে শৈবালের বৃদ্ধি বাড়িয়ে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে উৎসাহিত করতে পারে। এই শৈবালই মহাসাগরের খাদ্যশৃঙ্খলের ভিত্তি তৈরি করে। সেখানকার নতুন পরিবেশ আমাদের গ্রহের সংবেদনশীল জলবায়ু ভারসাম্যের জন্য সহায়ক হবে নাকি ক্ষতিকারক হবে, তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
জার্মানির আলফ্রেড ওয়েগেনার ইনস্টিটিউট ও কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল আর্কটিক মহাসাগর সম্পর্কে আমাদের পূর্বের ধারণাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়া পুরু আর্কটিক বরফের নিচে ঘটতে পারে না। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেন গ্যাসকে জীবনের সহায়ক রূপে রূপান্তর করে। এই রূপান্তরের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার জন্য সেখানকার পরিস্থিতিকে খুব চরম বলে মনে করা হতো। নতুন গবেষণা ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে। মধ্য আর্কটিক বরফের নিচে দেখা গেছে, নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়া কেবল ঘটছে তা নয়, বরং এটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বিস্তৃত হতে পারে। অন্যান্য সব সমুদ্রে সাধারণত সায়ানোব্যাকটেরিয়া দেখা গেলেও, আর্কটিকে নন-সায়ানোব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিত একটি ভিন্ন দলের উপস্থিতি দেখা যায়। ভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্রবীভূত জৈব পদার্থ খেয়ে বেঁচে থাকে ও নাইট্রোজেন যৌগ মুক্ত করে যা শৈবালকে পুষ্টি জোগায়।
আর্কটিক এলাকাকে একসময় প্রাকৃতিক কার্যকলাপের জন্য খুব অনুর্বর বলে মনে করা হতো। গবেষণায় দেখা গেছে, গলে যাওয়া সমুদ্রের বরফের কিনারা বরাবর নাইট্রোজেনের বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে সূর্যের আলো, পানি ও পুষ্টির উপাদান মিশে গেছে, যা ব্যাকটেরিয়া ও শৈবাল উভয়ের জন্যই আদর্শ পরিবেশ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের বরফ কমতে থাকলে আর্কটিকের নাইট্রোজেনচক্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী লিসা ডব্লিউ ভন ফ্রাইসেন বলেন, আর্কটিক মহাসাগরে সহজলভ্য নাইট্রোজেনের পরিমাণ অনুমান করা হয়নি এখনো। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের বরফ কমতে থাকলে শৈবাল উৎপাদনের সম্ভাবনা কেমন হবে তা এখনো জানা যায়নি। শৈবাল আর্কটিক খাদ্যশৃঙ্খলের জন্য অপরিহার্য। তারা আণুবীক্ষণিক ক্রাস্টেসিয়ানদের খাবার হিসেবে কাজ করে, যা পরবর্তী সময়ে ছোট মাছ এবং সিল ও তিমির মতো বড় শিকারি প্রাণীরা খায়। আরও শৈবাল এই শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে আর্কটিক সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সাধারণভাবে শৈবাল কেবল সামুদ্রিক প্রাণীদের খাদ্য জোগায় না। তারা সালোকসংশ্লেষণের সময় বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইডও শোষণ করে। যখন শৈবাল মরে যায়, তখন এই কার্বনের কিছু অংশ সমুদ্রের তলদেশে ডুবে যায়। বিজ্ঞানীরা প্রায়শই শৈবালকে প্রাকৃতিক কার্বন সিংক বা মহাসাগরের নিজস্ব ভ্যাকুয়াম ক্লিনার হিসেবে বর্ণনা করেন। নতুন তথ্য থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়া যদি শৈবালের বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে, তবে আর্কটিক মহাসাগর আরও বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করতে পারবে। বিষয়টি একদিক থেকে জলবায়ুর জন্য সুসংবাদ বলে মনে করা হচ্ছে। শৈবালের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি বৈশ্বিক কার্বন মাত্রাকে সামান্য হলেও প্রশমিত করতে পারে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিষয়টি এত সরল নয়। সামুদ্রিক সিস্টেম অত্যন্ত সংবেদনশীল। অন্যান্য পরিবেশগত পরিবর্তন এই ইতিবাচক প্রভাবকে দুর্বল করে দিতে পারে।
বিজ্ঞানী ল্যাসে রিম্যান বলেন, ফলাফল জলবায়ুর জন্য উপকারী হবে কি না, তা আমরা এখনো জানি না। তবে এটি স্পষ্ট যে সমুদ্রের বরফ কমতে থাকলে আগামী কয়েক দশকে আর্কটিক মহাসাগরের কী হবে, তা অনুমান করার সময় আমাদের নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াকে সমীকরণে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আর্কটিক পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় প্রায় চার গুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। এই দ্রুত পরিবর্তন কেবল বরফের ওপর নির্ভরশীল প্রজাতিদেরই নয়, বরং মহাসাগর কীভাবে কার্বন সঞ্চয় ও নির্গত করে, তারও পরিবর্তন ঘটায়। নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার ভূমিকা বোঝা গেলে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতের জলবায়ু ধরন সম্পর্কে আরও নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া