নুরুরের শারীরিক অবস্থা ভালো না: রাশেদ খান
Published: 4th, September 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা ভালো না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, “নুরুরে শারীরিক অবস্থা ভালো না, তার মাথা ঘুরায়, নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, “হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাবে।”
এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি করেন এবং যেসব রাজনৈতিক সংগঠন ও উপদেষ্টারা হাসপাতালে দেখতে আসেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান রাশেদ খান। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় নুরকে প্রথমে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। গঠন করা হয় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঢাকা/এসবি