২০২৩ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) সভাপতি লিসা স্টালেকার। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিকা অনুমোদিত সংগঠন ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু তার গভীর উপলব্ধি ছিল, কোয়াব বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে কিনা।

ক্রিকেটারদের সংগঠন হলেও কোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটিতে বিসিবি পরিচালক ও বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাবেক ক্রিকেটারদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আন্দোলনের সময় ফিকা যে বিবৃতি দিয়েছিল, তাতেও ফুটে উঠেছিল সেই শক্ত অবস্থান।

আরো পড়ুন:

‘এশিয়া কাপে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিবে লিটনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ’

কোয়াবের নেতৃত্বে মিঠুন

সেসব পেছনে ফেলে এবার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কোয়াব। বৃহস্পতিবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত হলো কোয়াবের নির্বাচন। যেখানে দেখা যায়নি কোনো সংগঠককে। শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিরাই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে কোয়াবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। বিজয়ের মালা গলায় পড়ে তার সাফ ঘোষণা, তিনি থাকবেন ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের পাশে। এজন‌্য বিসিবির বিরুদ্ধে যেতেও পিছু পা হবেন না।

ক্রিকেটারদের স্বার্থ‌ই তার কাছে সবার আগে, “আমরা অবশ্যই ক্রিকেটারদের কথা বলব। এখানে দু’ভাবে দাবি আদায় করা যায়। আলোচনার মাধ্যমে আর বিপক্ষে গিয়ে। আমরা প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান করার চেষ্টা করবো। তাতে কাজ না হলে আমাদের কথায় যদি বিসিবির কেউ মন খারাপ করে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।”

শুধু বড়দের ক্রিকেটেই তার নজর থাকবে না। মিঠুন কাজ করতে চান সবস্তরে, “আমি দেশের বড় পর্যায়ের লিগগুলো খেলি। তাই এখানকার কি প্রয়োজন তা জানি, আরও নিচের স্তরের যেমন প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেটারদের কি দাবি তা জানি না, সেগুলো জানতে হবে। এরপর আমরা চাইবো শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক নয়, ঢাকার বাইরেও কোয়াবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে।”

মিঠুন ছাড়া এবার কোয়াবের পরিচালনা কমিটিতে এসেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, সহ-সভাপতি নুরুল হাসান সোহান। সদস্যরা হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, শামসুর রহমান, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট, ইমরুল কায়েস ও রুমানা আহমেদ। 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ