ভোলায় ঘরে ঢুকে মসজিদের খতিবকে হত্যা
Published: 7th, September 2025 GMT
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলা পৌরসভার চরনোয়াবাদ এলাকার নিজ বাসভবনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।
নিহত আমিনুল হক নোমানী ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বলাৎকারের পর ৮ বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এশার নামাজের পর আমিনুল হক নোমানী নিজ ঘরে অবস্থান করছিলেন। এসময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তার ঘরে প্রবেশ করে। তারা আমিনুল হক নোমানীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে গুরুতর অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক আমিনুল হক নোমানীকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আমিনুল হক নোমানীকে হত্যার প্রতিবাদে তার সহকর্মী ও ছাত্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালের সামনে ও ভোলা সদর রোডে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু শাহাদাত মোহাম্মদ হাসনাইন পারভেজ বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত আইনের আনতে পুলিশ কাজ করছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা