টঙ্গীতে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু
Published: 12th, September 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে চোর সন্দেহে আটকের সাড়ে সাত ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে রনি মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একইদিন দুপুর ২টার দিকে চোর সন্দেহে আটকের পর স্থানীয়রা রনিকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করে।
আরো পড়ুন:
মাদরাসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রের মৃত্যু
হবিগঞ্জে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর রশীদ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রনির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রনিকে থানায় কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মারা যাওয়া রনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মীরের বেতকা গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। তিনি টঙ্গীর বড় দেওড়া পরান মুলের টেক এলাকার একটি বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
এলাকাবাসী জানান, রনি একজন মাদকাসক্ত। তিনি মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েন। তার এসব কার্যক্রমে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকার অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি সাবমারসিবল পাম্প এবং কিছু পাইপ চুরি করেন রনি। চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাকে আটক করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রনি থানা হাজতের ওয়াশরুমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রনিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রনির মৃত্যু হয়।
টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশীষ চৌধুরী বলেন, “পুলিশ রনিকে হাসপাতালে আনে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা/তারেকুর/এস