মালদ্বীপে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বৈধকরণের দরজা খুলল সরকার
Published: 14th, September 2025 GMT
মালদ্বীপ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শিগগিরই অনিবন্ধিত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি ব্যাপক বৈধকরণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে।
পাবলিক সার্ভিস মিডিয়ার (পিএসএম) ‘রাজ্জে মিয়াধু’ নামে একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মজিদ ইব্রাহিম, এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মে থেকে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মালদ্বীপে অভিবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ এখনও অনিবন্ধিত অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “অনেক শ্রমিক বৈধকরণে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন নিয়োগকর্তাদের অবহেলা বা অন্যান্য কারণে। যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া আছেন বা কোনো সমস্যায় রয়েছেন, তাদের জন্য ভবিষ্যতে সিস্টেমে প্রবেশের সুযোগ থাকবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, বৈধকরণ কর্মসূচি প্রায় ছয় মাস চলবে এবং শ্রমিকদের এই সুযোগ গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে অনিয়মিত অভিবাসন রোধে অভিযান শুরু হয়, যা এখনও পর্যন্ত ৬,০০০-এর বেশি অভিবাসীর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং অভিযান চলমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান জানান, সরকারের মূল লক্ষ্য গ্রেপ্তার নয়, বরং অভিবাসীদের বৈধকরণের সুযোগ দেওয়া।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ধকরণ মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ