কতবেল ভিটামিন সির ভালো উৎস। এতে আরও আছে কিছুটা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম এবং নানা খনিজ উপাদান। আরও আছে দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান আঁশ।

কতবেল সাধারণত লবণ আর মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া হয়। তবে কেউ আবার আচারও করেন। বৈচিত্র্যের খোঁজে জুস, জেলি, এমনকি আলুর দমের মতো পদেও কতবেল ব্যবহার করা যায়।

আচার, জেলি বা রান্নায় ব্যবহার

তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় কতবেলের ভিটামিন বির বেশির ভাগটাই বাষ্প হয়ে উড়ে যায় আচার বা জেলি তৈরির সময় বা রান্নায় ব্যবহারের সময়।

তাই কতবেলের এ ধরনের পদ খেতে চাইলে আপনি এই দুটি পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হবেন। অবশ্য অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ঠিকই মিলবে।

তবে কোনো পদে চিনি যোগ করা হলে সেটি এমনিতেও খুব একটা স্বাস্থ্যকর থাকে না। কারণ, চিনি দেওয়া পদ খেলে রক্তের গ্লুকোজ বাড়ে হুট করে।

এই গ্লুকোজ আবার মেদ হিসেবে জমাও হয় সহজে। চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যকর নয়।

চিনি বা গুড় দেওয়া কোনো পদ নিয়মিত কিংবা খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া কারও পক্ষেই ভালো নয়। আর ডায়াবেটিস থাকলে এমন পদ অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুনপাকিস্তানের সাত্তার বক্স যেভাবে আইনি লড়াইয়ে বিশ্বখ্যাত স্টারবাকসকে টেক্কা দিল১৮ ঘণ্টা আগেকতবেল মাখানো বা ভর্তা

মাখিয়ে বা ভর্তা করে খেলে কতবেলের সব পুষ্টি উপাদানই পাবেন। কতবেল এভাবে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।

দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং ত্বকের তারুণ্য ও সজীবতা ধরে রাখতে কতবেল দারুণ কাজে আসে। কতবেল এবং অন্যান্য ফল খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমে।

দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং ত্বকের তারুণ্য ও সজীবতা ধরে রাখতে কতবেল দারুণ কাজে আসে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র উপ দ ন কতব ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ