রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল ১২ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করে প্যানেলটি।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: রাবিতে ২ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

রাকসু: ম্যানুয়াল ভোট গণনাসহ ১২ দাবি ছাত্রদলসহ ২ প্যানেলের

প্যানেলের ঘোষিত ১২ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে— অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইম্প্যাক্ট’ দপ্তর গঠন, ফি পরিশোধে ওয়ান-স্টপ সল্যুশন, কার্যকর ও শক্তিশালী অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক গঠন, উপাচার্য নির্বাচন চালুর দাবি, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের জন্য আইইবি এক্রিডিশন, ‘ফুড অ্যান্ড পাবলিক হেলথ মনিটরিং গ্রুপ’ গঠন, সবার জন্য পৃথক ইনস্টিটিউশনাল মেইল, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও মাল্টিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিউনিটি ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ সমন্বয় এবং পূর্ণাঙ্গ টি-এসএসসি বাস্তবায়ন।

ইশতেহার ঘোষণার পর রাকসুর ইতিহাসে প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, “আমাদের সময় মাত্র ১ বছর। এই ১ বছরে বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলোই আমরা ইশতেহারে রেখেছি। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত যে সমস্যার মুখোমুখি হন, সেগুলোর মূল জায়গাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি।”

নির্বাচনী প্রচার ও শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “গতকাল (সোমবার) থেকেই আমরা প্রচার শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছি, তারা আমাদের আশ্বস্ত করছেন। আশা করি ভালো কিছু হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশত হ র

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ