মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ভারতে বিভিন্ন সময় আটক হওয়া প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি নাগরিককে ভারত থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) কর্তৃক প্রদত্ত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ সবচেয়ে বড় অভিযানের একটি। ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার চিহ্নিত বিদেশি নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন:

অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী

দুই সন্তানসহ অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশি নারীকে সীমান্তে ফেলে পালাল ভারতীয় শ্বশুর

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মাদকচক্রের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা ও ‘মাদকমুক্ত ভারত’ অভিযানকে আরো শক্তিশালী করাই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। যেসব দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ঘানা এবং নাইজেরিয়া।

এই বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে পরিবহন পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে এই সব মাদক পাচারকারীরা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী রয়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারতের নতুন অভিবাসন আইনের আওতায় এই বিদেশিদের প্রত্যর্পণ করা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দিন কয়েক আগে মাদকবিরোধী টাস্ক ফোর্স (এএনটিএফ) এর দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধানদের মাদক পাচারকে জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করার এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের অধীনে, এই বিদেশি নাগরিকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে এবং সেখান থেকে তাদের নির্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদক পাচারে বিদেশি নাগরিকদের জড়িত থাকার ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মহানগর শহর (সিটি) এবং উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে তাদের কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই কারণে নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করছে। 

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।

অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।

ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।

কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ