চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় বৃদ্ধির দাবি ছাত্রদলের
Published: 17th, September 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চাকসু নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিনের কাছে এ দাবি জানান তারা।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন; ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ
চাকসু: ফয়জুন্নেছা হলে ১৪ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র বিক্রি
লিখিত আবেদনে ছাত্রদল জানায়, আসন্ন চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু বিগত ৩০ ও ৩১ আগস্ট গ্রামবাসীদের হামলার শিকার হয়ে আহত অনেক শিক্ষার্থী এখনো গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
একইসঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা চলার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। এমতাবস্থায় মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দেওয়ার সময়সীমা আরো দুইদিন বর্ধিত করা হলে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক হত।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “সংঘর্ষে আহতসহ অনেক শিক্ষার্থীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়নপত্র নেওয়া ও জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের বলেছেন ‘এটা সম্ভব না’। সরাসরি সম্ভব না বলা তো ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।”
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.
তফসিল অনুযায়ি, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলেছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর ছ ত রদল ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।