বগুড়ায় অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে। তারা সবাই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর মধ্যে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আব্দুল মানিক (২৫) ও বিকেলে আব্দুল্লাহেল কাফি (৩০) মারা যান। এর আগে, বৃহস্পতিবার নাছিদুল ইসলাম (২৭), তার আগে মঙ্গলবার মারা যান মিজানুর রহমান মণ্ডল (৫০)।

আরো পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় রাবি অধ্যাপক নিহত

কুড়িগ্রামে ‘অরক্ষিত’ হাউজে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

মৃত চারজনই বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রঞ্জু মিয়া (২৮) নামের এক যুবক।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বেলতলা এলাকায় কয়েকজন একসঙ্গে বসে মদপান করেন। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বাড়িতেই চিকিৎসা নেন। অবস্থা অবনতি হলে ৪ অক্টোবর পরিবারের লোকজন তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখনো একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে, তারা কোন ধরনের মদ খেয়েছে সেটা জানা যায়নি। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/এনাম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকদের এভাবে পেটানো জাতির জন্য লজ্জাজনক

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘একটা নতুন দেশ গড়তে যাচ্ছি আমরা। এত মানুষ রক্ত দিয়েছেন, তারপরও অপমানিত হওয়ার জন্য নয়। শিক্ষক কেন, একটা সাধারণ মানুষকেও রাস্তার মধ্যে কুকুরের মতো পেটাবেন, এই রকম দেশ চাই না।’

আজ সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের তিন দফা দাবিতে চলা অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে এ কথাগুলো বলেন মাহমুদুর রহমান।

নিজের রাজনৈতিক লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘দেশ আমরা বদলাব বলে লড়াই করছি। এখনো যে লড়াই করছি, তা কোনো দলের পরিবর্তে দল কিংবা মানুষের পরিবর্তে মানুষকে ক্ষমতায় বসানোর লড়াই নয়। আমরা সমগ্র মানুষ, ২০ কোটি মানুষের ভাগ্য বদলাবার লড়াই করি।’

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক–কর্মচারীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী সাহেবরা প্রতিদিন কে কতক্ষণ লেট করে অফিসে আসেন, সেই হিসাব তো চাইনি। তাহলে ৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষকদের লাঠিপেটা করা আর যা–ই হোক, মানুষের কাজ তো হতে পারে না। এটা এই জাতির জন্য একটা কলঙ্ক।’

দুই দিন পার হলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের কোনো প্রতিনিধি যোগাযোগ না করার সমালোচনা করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার জন্য যে ভাতা দেওয়া হয়, তা দিয়ে একেবারে গ্রাম এলাকাতেও একটা বাসা পাওয়া যায় না।’

শিক্ষকদের দাবি মানা না হলে রাজনৈতিক দলগুলোও শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেবে বলে জানান মাহমুদুর রহমান। এ সময় তিনি গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের পক্ষ থেকে শিক্ষক–কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে আমরা আছি।’

শিক্ষক–কর্মচারীদের আন্দোলনের সফলতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘এমন একটি সরকার চাই, যে সরকার সত্যি সত্যি জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। আজকের লড়াই শুধু শিক্ষকদের নয়, এই লড়াই শিক্ষকদের মুক্তির লড়াই। শিক্ষাকে উন্নত করার লড়াই।’

এর আগে বিকেলে শিক্ষক–কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ