Prothomalo:
2025-10-13@10:50:29 GMT

এমএলএস যেন মেসির রাজত্ব

Published: 13th, October 2025 GMT

মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ২০২৫ মৌসুম শেষের পথে। ১৯ অক্টোবর ভোরে নাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিয়মিত মৌসুমের শেষ ম্যাচটি খেলবে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এবারের নিয়মিত মৌসুমটা ইন্টার মায়ামির জন্য খানিকটা হতাশারই বলা যায়। গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগে সবার ওপরে থেকে সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছিল তারা। কিন্তু এবার সেই শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। মায়ামিকে পেছনে ফেলে শিরোপা জিতেছে ফিলাডেলফিয়া।

দল হিসেবে মায়ামি শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে মেসি ছিলেন বরাবরের মতোই উজ্জ্বল। মৌসুমজুড়েই আলো ছড়িয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ম্যাচের পর ম্যাচে দলকে সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন।

গোল করা এবং গোলে সহায়তার পাশপাশি অনেক নৈপুণ্যের সূচকে চূড়ায় অবস্থান করছেন মেসি। এমএলএসে এখনো অবশ্য একটি করে ম্যাচ বাকি আছে দলগুলোর। কিন্তু তারপরও খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, মেসি নিজেকে এতোটাই সামনে নিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুনমেসি যেন একটি নদীর নাম০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৌসুমে এখন পর্যন্ত হওয়া ৩৩ ম্যাচের ২৭টিতে মাঠে নেমেছেন মেসি। এই ২৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৬ গোল করেছেন মেসি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির ডেনিস বুয়াংগার চেয়ে ২ গোল বেশি। গ্যাবন উইঙ্গার অবশ্য মেসির চেয়ে ৩ ম্যাচ (৩০) বেশি খেলেছেন।

গোলে সহায়তায়ও সবার ওপরে মেসি। এই তালিকায় মেসির মতো ১৮ গোলে সহায়তা করে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন ডেনিশ উইঙ্গার আন্দ্রেস ড্রেয়ের। কিন্তু ড্রেয়ের মেসির চেয়ে ৬ ম্যাচ বেশি খেলেছেন। মূল দুই পরিসংখ্যানের বাইরে ম্যাচে একাধিক গোল, সুযোগ তৈরি এবং সফল ড্রিবলসহ বেশ কিছু পরিসংখ্যানে সবার ওপরে মেসি।

শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে অবশ্য মেসিকে মাপার সুযোগ নেই। নিউক্লিয়াস হয়ে পুরো মায়ামিকে অনেকটা একাই এগিয়ে নিয়েছেন মেসি। রক্ষণ থেকে আক্রমণভাগ সব জায়গায় মেসি ছিলেন সূত্রধরের ভূমিকায়। যখন যেখানে প্রয়োজন হয়েছে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনমেসিকে দেখে লজ্জায় কথা বলতে না পারা সেই ছেলেটিই এখন আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ১০ অক্টোবর ২০২৫

তবে মেসির জন্য দলকে শিরোপা জেতানোর স্বপ্ন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শিল্ড না জিতলেও মায়ামিকে এমএলএসের প্লে অফে নিয়ে গেছেন মেসি। এখন সুযোগ আছে প্রথমবারের মতো দলকে এমএলএস কাপ জেতানোর। সেটি জিততে পারলে শিল্ড হারানোর যন্ত্রণা অনেকটাই ভুলে যেতে পারবেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু 

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। 

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে একটি ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব

দুই দিন পিছিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ১৭ অক্টোবর

জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে টিকাটি, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক টিকাবিষয়ক সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরো আটটি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোথাও বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী বাকি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। শহরের পথশিশুদের টিকাদানে সহায়তা করবে বিভিন্ন এনজিও।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন চলমান রয়েছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই, তাদেরও টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অভিভাবকরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে এবং নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন দেশের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে এই টিকা দেওয়া হবে।”

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শূন্য সুখের শহর
  • কাঁদতে কাঁদতে রেললাইনে বসেন তরুণ, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
  • দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকাদান শুরু
  • দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু 
  • আলহামদুলিল্লাহ, আমার জীবনের সেরা দিন: ফারহান