দলের অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ, জয়পুরহাটে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ
Published: 13th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জয়পুরহাট জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. ফিরোজ আলমগীর পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। পদত্যাগপত্রে তিনি দলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও অবস্থান নিয়ে অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেছেন।
পদত্যাগপত্রে ফিরোজ আলমগীর বলেন, সম্প্রতি এনসিপির বিভিন্ন কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষ করে চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের দলে নেওয়ার বিষয়ে দলের অবস্থান তাঁর ব্যক্তিগত আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, বিপ্লবপরবর্তী সময়ে এনসিপি নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করবে। কিন্তু বর্তমানে দলটি গতানুগতিক রাজনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে, যা আমাকে মর্মাহত করেছে।’
ফিরোজ আলমগীর তাঁর পদত্যাগপত্রে আরও লিখেছেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি এনসিপির কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পারছি না। তাই পদ ও দলের সব কার্যক্রম থেকে পদত্যাগ করছি।’ তিনি এনসিপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, দলটি যেন আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানায় এবং জেলা পর্যায়ের জনমতের ভিত্তিতে কাজ করে।
আজ সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে দল থেকে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিরোজ আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমি দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর পদত্যাগপত্র হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছি। সেখানে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেছি।’
এনসিপির জয়পুরহাট জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক ওমর আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলার প্রধান সমন্বয়ক ফিরোজ আলমগীর পদত্যাগ করেছেন। আমি বিষয়টি জেনেছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ র জ আলমগ র পদত য গপত র র পদত য গ সমন বয়ক এনস প র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটি গঠন
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের আলী আহম্মদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুমকে সভাপতি ও তারেক বাবুকে সাধারন সম্পাদক করে বাপা’র এ কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাপা’র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট এ বি সিদ্দিক। বক্তব্য রাখেন বাপা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সহ-সভাপতি মহিদুল হক খান, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক হাসান খান, জাহিদুল হক দীপু, বাপা’র জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সহ-সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, পপি রানী সরকার, সুলতানা আক্তার প্রমুখ।
কমিটিতে অন্যরা হলেন, সহ- সভাপতি জাহিদুল হক দিপু, জিয়াউল ইসলাম কাজল, মজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমিত সাহা, সুলতানা আক্তার, শাজাহান মোড়ল, কার্যকরী সদস্য এড. এবি সিদ্দিকী, এড. আওলাদ হোসেন, সারু ইসলাম, সানোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম টিটু, আব্দুল জব্বার, শরিফ উদ্দিন সবুজ, হাফিজুল হক, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মনি গাঙ্গুলী, পপি রানী সরকার।
বক্তব্যে বাপা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ৬৫ বছর আগে যখন নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে যেতাম তখন নারায়ণগঞ্জ ছিলো অনেক পরিস্কার, বৃক্ষশোভিত। শীতলক্ষার পানি ছিলো খুবই স্বচ্ছ। বাতাস ছিলো স্বাস্থকর। কিন্তু আজ তা কল্পনার মতো মনে হয়।
বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে আট ফুট পলিথিন। শীতলক্ষার তলদেশে চার ফুট পলিথিন। একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের অবস্থা আমাদের শীতলক্ষা, বুড়িঙ্গার চাইতে খারাপ ছিলো। কিন্তু বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যায় করে তা পরিস্কার করা হয়েছে, এবং রক্ষা করা হয়েছে।
বাপা’র কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর কবির একসময় যখন নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তখন বাপা’র উদ্যোগে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ফলে এ খাল রক্ষা পেয়েছে। এবং এখন নারায়ণগঞ্জবাসির বেড়ানোর জায়গায় পরিণত হয়েছে। একইভাবে আন্দোলন তৈরী করে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ পরিস্থিতি, শীতলক্ষ্যা বাঁচাও, পলিথিন ও যানজট মুক্ত নগরী গঠনের প্রত্যয় করে বলেন, সারা বাংলাদেশের মতন আমরো নারায়ণগঞ্জের পরিবেশকে বাঁচাতে চাই। পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে হলে যার যার জায়গা থেকে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর বিস্তৃতির প্রধান কারন পরিবেশ দূষণ। প্লাষ্টিক, পলিথিন দুই বিল্ডিংয়ের সংকীর্ণ অংশসহ এমন সব জায়গায় ছড়িয়েছে যে তাদের অপসারণ করা খুব কঠিন। আবার অপসারণ করলেও তাদের নারায়ণগঞ্জেরই কোথাও ফেলে রাখতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় রি-সাইকেল সিস্টেম গড়ে ওঠেনি। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনসহ প্রশাসনেরও অবহেলা রয়েছে। ফলে এসব পলিথিন-প্লাষ্টিকে বৃষ্টির পানি আটকে মশার লার্ভা তৈরী হচ্ছে। মশাবাহিত রোগের বিস্তৃতি হচ্ছে।