নবম-দশম শ্রেণির সাড়ে পাঁচ কোটি পাঠ্যবই ছাপাবে সরকার
Published: 14th, October 2025 GMT
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণ করবে সরকার। এ জন্য প্রায় ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৯ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের প্রস্তাব সুপারিশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এই বইগুলো সাধারণ, দাখিল, ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল ট্রেড কোর্সের বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের জন্য মুদ্রণ করা হবে।
আরও পড়ুনএইচএসসি–২০২৫ পরীক্ষার ফল অনলাইনে, শিক্ষার্থীরা পাবেন যেভাবে ১৩ অক্টোবর ২০২৫আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ৪১তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড.
প্রস্তাব অনুযায়ী, এই বিপুলসংখ্যক পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৭৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে বই হাতে পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প খরচে পড়াশোনার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৫ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে প্রতিবেদনের পর ১৪ রেলস্টেশনে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী দিয়েছে ঠিকাদার
দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের স্টেশনগুলোতে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সামগ্রী বুঝে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুড়িমারী ও পাটগ্রাম স্টেশনের মাস্টার নুর আলম।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘লালমনিরহাট স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ’ শিরোনামে রাইজিংবিডি ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর সব স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বিভাগ লালমনিরহাট। এ বিভাগের রেল স্টেশনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবিই পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। বেসরকারিভাবে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করতে প্রতি দুই বছর পর দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। গত দুই অর্থবছরে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলের ১৪টি স্টেশনে এসব সামগ্রী সরবরাহের কাজ পায় ক্লিন সার্ভিস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি স্টেশনে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করার কথা। এসব সামগ্রীর মধ্যে আছে—হারপিক, সাবান, লাইজল, ফুল ঝাড়ু, কাঠের ঝাড়ু, ফেসিয়াল টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, এয়ার ফ্রেশনার, এডোনিল, ড্যামফিক্স, হ্যান্ডওয়াশ, টয়লেট ব্রাশ, বেলচা, অ্যারোসল, মপ, ফিক্সল ও বালতি। ১৪টি স্টেশন পরিষ্কার বাবদ প্রতি মাসে বিল ধরা হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
বেসরকারিভাবে পরিচালিত স্টেশনগুলো হচ্ছে— আদিতমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, বুড়িমারী, কাউনিয়া, গাইবান্ধা, বোনারপাড়া, বগুড়া, দিনাজপুর, সেতাবগঞ্জ,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়।
নিয়ম অনুযায়ী, ঠিকাদার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী স্টোরকিপারকে অবগত করে স্ব স্ব স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে প্রত্যয়ন সাপেক্ষে বিল উত্তোলন করবেন। কিন্তু, গত অর্থবছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পরিচালিত ১৪টি স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন দেওয়া হলেও কোনো পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাইজিংবিডিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরে নড়েচড়ে বসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে যুক্তি অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ প্রকাশের পরদিন এসব সামগ্রী সব স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুড়িমারী ও পাটগ্রাম স্টেশনের মাস্টার নুর আলম বলেছেন, সংবাদ প্রকাশের পর চুক্তিমতো সমুদয় পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী বুঝে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এজন্য রাইজিংবিডিকে ধন্যবাদ।
ক্লিন সার্ভিসের মালিক ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, আমার প্রতিনিধি গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে কিছু সামগ্রী স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তারা আরো দিয়েছেন। অসুস্থ থাকায় এসব সামগ্রী সময়মতো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
অফিস সহকারী ও স্টোরকিপার নুরুজ্জামান সরকার সোহেল বলেছেন, আমার বিষয়ে যারা অভিযোগ দিয়েছেন, তা মিথ্যা ছিল। এই বিষয়টি পুরো দেখভাল করতেন ঠিকাদার। ইতোমধ্যে পাওনা পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী স্টেশনগুলোতে পৌঁছে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা/সিপন/রফিক