বিএনপি ২ পক্ষের সংঘর্ষ: মিলনের পর ভাই আলমের মৃত্যু
Published: 16th, October 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আলম। ৫৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মারকইল-ছোনকাই এলাকার মৃত নওসাদ আলীর ছেলে। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যায় আলমের বড় ভাই মিলন (৬০) মারা যান।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ৩০
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ ঘোষণা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
আরো পড়ুন: বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের সমর্থক তরিকুলকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম তুহিন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের খোকনের লোকজনের বিরুদ্ধে। এরই জেরে গত মঙ্গলবার বিএনপির ওই দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মিলন-আলমসহ ১৫ জন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক মিলন-আলমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বুধবার সকালে ও সন্ধ্যায় দুই ভাই মারা যান।
নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “গত মঙ্গলবার ফতেপুর ইউনিয়নের মারকইল এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আপন দুই ভাই মিলন-আলমসহ ১৫ জন আহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বুধবার দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।”
তিনি বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সাড়ে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভাই মারা গেছেন। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।”
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ন হত আহত ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকি: ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জব
রংপুর ও গাইবান্ধা অঞ্চলে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব। গবাদিপশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ ও শঙ্কা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই আছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না তারা। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
মাংস ক্রেতারা জানান, আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের। তবে, তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
আরো পড়ুন:
হাত-পায়ের ব্যথা কমাতে পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন
টকদইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হিতে বিপরীত
ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। জবাই করার আগে প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। এই দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।
মাংসের ক্রেতা সদর উপজেলার আবদুস সালাম বলেন, “পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।”
নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, “রংপুর ও গাইবান্ধায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত প্রাণী বা তাদের দেহবস্তুর সংস্পর্শে এলেই ছড়ায় যা মানুষকে সংক্রমিত করে। আমাদের এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রেতারা পশু জবাই করেন। পশুটি সুস্থ আছে কিনা সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। যেখানে পশু জবাই হয় সেখানে কখনো কোনো পশু চিকিৎসককে দেখিনি।”
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পশু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো। এখন আর তা করা হয় না, প্রশাসনের কেউ থাকেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন, “আমি নতুন যোগদান করেছি। কেন পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না বিষয়টি জেনে বলতে পারব। অসুস্থ পশু জবাই হলে তা থেকে মানব শরীরে অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে।”
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টিতে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ