মেসির সতীর্থের গোলে ১৮ বছর পর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা
Published: 16th, October 2025 GMT
৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। এবার দেশটির অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসানের খুব কাছে চলে গেল। চিলিতে আজ বাংলাদেশ সময় সকালে সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে যুবাদের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টাইনদের জয়ের নায়ক লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি সতীর্থ মাতেও সিলভেত্তি। ৭২ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ভোরে সান্তিয়াগোতে ফাইনালে আফ্রিকান দল মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
দারুণ এক দলীয় প্রচেষ্টার ফসল ছিল সিলভেত্তির গোলটি। আর্জেন্টাইন অর্ধ থেকেই গড়ে ওঠা আক্রমণটি পূর্ণতা পায় সিলভেত্তির গোলে। নিজেদের অর্ধ থেকেই প্রায় ৩০-৪০ গজ দৌড়ে নিখুঁত এক পাস বাড়িয়েছিলেন বেনফিকায় খেলা উইঙ্গার জিয়ানলুকা প্রেসতিয়ান্নি। ডান পায়ের বুটের ডগার ছোঁয়ার বলটিকে জালে পাঠান সিলভেত্তি।
সিলভেত্তি গোল পেলেন নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনার তিনটি ম্যাচেই। সেমিফাইনালের আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাইজেরিয়া ও কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকোর বিপক্ষে ১টি করে গোল করেছেন সিলভেত্তি। টুর্নামেন্টে তাঁর গোল এই তিনটিই।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই মেসির অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন সিলভেত্তিরা। ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘এবার ফাইনাল!!! সবাইকে অভিনন্দন, দারুণ।’
উত্তর দিতে দেরি করেননি সিলভেত্তি, বলেছেন, ‘লিও (মেসি) আমাকে ও দলকে যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাতে খুব সম্মানিত বোধ করছি। বড়রা সব সময়ই সমর্থন দিয়ে গেছেন, আমাদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম।’
২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মেসি। সিলভেত্তিরা কি পারবেন?
অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনাই সবচেয়ে সফল দল। সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে সর্বশেষ ট্রফিটি আর্জেন্টাইন যুবারা জিতেছে সেই ২০০৭ সালে। এরপর এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দলটি। সপ্তম শিরোপা জয়ের পর সাতটি অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের পাঁচটিতে সুযোগ পাওয়া আর্জেন্টাইনরা সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ২০১১ সালে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর বোর্ডে পাসের হার কমে ৫০.২০ শতাংশ
যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫০.২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুই-ই কমেছে। একইসঙ্গে শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের প্রভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি খাতা মূল্যায়নে কঠোরতা ও যথার্থতা বজায় রাখায় ফলাফলে এই পরিবর্তন এসেছে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক
বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। তাই, পাসের হার কিছুটা কমেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৫৬ হাজার ৫০৯ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছেন ১৫ হাজার ৯৩১ জন, মানবিক বিভাগে ৩৪ হাজার ৩ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬ হাজার ৬৭৫ জন।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছেলে ১ হাজার ৭৭২ ও মেয়ে ১ হাজার ৬০৯, মানবিক বিভাগে ছেলে ৫৪৪ ও মেয়ে ১ হাজার ৬৩৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে ছেলে ১৬৪ ও মেয়ে ২৭১ জন।
গত বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৪.২৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৭৪৯ জন। এ বছর শূন্য পাশের কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কিছুটা ঘাটতি ছিল। আমরা খাতার যথার্থ মূল্যায়ন করেছি এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করেছি। তাই, পাসের হার কমেছে।”
তিনি জানান, শূন্য পাসের কলেজগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম বলেছেন, “এ বছরের ফল নিয়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। তবে, শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেধাবীদের খুঁজে বের করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
ঢাকা/রিটন/রফিক