সুস্থ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে খেলা অন্যতম মাধ্যম: আমিনুল হক
Published: 12th, January 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, জনগণের ভোটে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে, মহল্লায়, থানায়, উপজেলা পর্যায়ের সব খেলার মাঠ সংস্কার করা হবে। খেলার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। যাতে বাবা-মা তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খেলাধুলার জন্য মাঠে যেতে পারে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ- আইইবি’র লন টেনিস কোর্টে আইইবি সদর দপ্তর, ঢাকা কেন্দ্র, ইআরসি ঢাকার যৌথ উদ্যোগে শীতকালীন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমাদের যুবসমাজ মাদকাসক্তের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। সেই জায়গা থেকে একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে খেলা হবে অন্যতম একটি মাধ্যম। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য খেলাধুলা হবে প্রধান মাধ্যম।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে শুধু ব্যাডমিন্টন নয়, কোনো কিছুই করা যায় নাই। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়করণ করেছে। ফলে এটি ধ্বংসের পথে। ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল ফেডারেশন, ব্যাডমিন্টনসহ সবকিছু আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার এমনভাবে দলীয়করণ করেছে বাংলাদেশে যারা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক তারা হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন অনেকটাই তলানিতে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনকে জাগ্রত করার জন্য তারেক রহমানের নির্দেশনা আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করেছি। জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করা হয়েছে। এরপরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মেয়েদের ক্রিকেট অথবা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। খেলার কোন বয়স নাই। শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকার জন্য খেলার প্রয়োজন। তাই আমরা চাই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে খেলার মাঠ হোক।
বিএনপির এ নেতা বলেন, যখন কেউ ক্ষমতায় আসে তখন তারা স্থাপনা তৈরি করতে চায়। কিন্তু বিএনপি হবে এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করবে। তাদেরকে ভালো রাখতে, সুস্থ রাখতে কাজ করবে। প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানেরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে এটা চায় কিন্তু খেলোয়াড় হবে এটা কেউ চায় না। আমরা সেই জায়গাটি তৈরি করতে চাই যাতে বাবা-মা তার সন্তান খেলোয়াড় হোক এটা চাইবে। প্রতিটি খেলা কে বাধ্যতামূলক করা হবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ঢাকা কেন্দ্র এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এসোসিয়েশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টার নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান সান্টু প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫