আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
Published: 18th, January 2025 GMT
দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) তাদের প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরে পদার্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরার নিজস্ব ক্যাম্পাসে আনন্দ ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা এবং আইইউবিএটির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে, আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের অংশ হিসেবে বেলুন এবং শান্তির প্রতীক সাদা কবুতর উড়ানো হয়। আইইউবিএটির উন্মুক্ত অডিটোরিয়ামে সকল বিভাগ ও ফ্যাকাল্টির অংশগ্রহণে ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মোমতাজুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মো. জাহিদ হোসেন (অব.), প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ মিয়া, ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
এছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় আইইউবিএটির অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত আইইউবিএটি দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর সাবেক পরিচালক ছিলেন, তার যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিচ্ছেদ কী বললেন আমির
বছর তিনেক আগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র বক্স অফিস ব্যর্থতার পর কার্যত লাপাত্তা হয়েছিলেন আমির খান। তবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নিজের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারে আবার সরব এই বলিউড তারকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সব সাক্ষাৎকারেই ঘুরেফিরে এসেছে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ। রিনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি। কিছুদিন আগেই গৌরি স্প্র্যাটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ সামানির পডকাস্টে হাজির হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। অকপটে স্বীকার করেছেন, রিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই হঠকারী।
আমির খান জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জীবনে সবচেয়ে বড় কোনো আফসোস আছে কি না, এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ও ছিল ১৯। আসলে আমি যেদিন আইনিভাবে বিয়ে করতে পারতাম, সেদিনই করেছি; ১৮ এপ্রিল। তবে এটা ভাববেন না, আমি বলছি রিনাকে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। আমি বলছি, সময়টা হয়তো সঠিক ছিল না। রিনার সঙ্গে আমার জীবনটা খুব ভালো কেটেছে। রিনা দারুণ একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে আমি মনে করি না এত ছোট বয়সে কারও এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা–ও আবার এমন তাড়াহুড়া করে।’ তখনই অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন আমির, আর তাঁদের বিয়ের বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন দুজন।
পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটা উদাহরণ। বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনাইদকে ওই বিয়ের মাধ্যমেই পেয়েছি। আমি ও রিনা ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’ আমির ও রিনার বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘আমি তখন সিনেমায় ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল রেড ফ্ল্যাগ। আমি একপ্রকার কাজের নেশায় বুঁদ ছিলাম,’ বলেন আমির।
আমির খান। এএফপি